ওয়েব ডেস্ক: ফের দিনেদুপুরে শহরে চলল গুলি। হল যথেচ্ছ বোমাবাজি। দুষ্কৃতী তাণ্ডবে উত্তপ্ত এন্টালির বিবির বাগান। বাইকে সওয়ার দুষ্কৃতী বাহিনীর গুলিতে আহত একজন। উত্তেজিত জনতা দুষ্কৃতীদের বাইকে আগুন লাগিয়ে দেয়। বিক্ষোভে আটকে পড়ে পুলিসও। ঘটনার নেপথ্যে প্রোমোটিং চক্রকেই দায়ী করেছেন স্থানীয়রা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এন্টালির বিবির বাগান এলাকা। বেলা তখন বারোটা। আচমকা এলাকায় ঢুকে পড়ে বাইকে সওয়ার একদল দুষ্কৃতী। সংখ্যায় প্রায় দশ এগারোজন। প্রথমে ব্যাপক বোমাবাজি। এক দফা হুমকি। তারপর ফিরে এসে যথেচ্ছ গুলি। গুলি লাগে স্থানীয় বাসিন্দা শেখ আসলামের পায়ে। গুরুতর জখম আসলামকে ভর্তি করা হয় এনআরএস হাসপাতালে। এলাকাবাসীর মুখে একটাই নাম। শেখ নিয়াজুল।


কে এই নিয়াজুল? 
শেখ নিয়াজুল এন্টালির মোতিঝিলের বাসিন্দা।
নিয়াজুল, শেখ কলিম, কেলেবাতিরা এলাকায় দুষ্কৃতী হিসেবে পরিচিত।
নিয়াজুল গোষ্ঠীর কেলেবাতির নাম জড়িয়েছিল পামার বাজার গুলিকাণ্ডে। 


দুষ্কৃতীদের এলাকা দখলের লড়াই ঘিরে সম্প্রতি বার বার উত্তপ্ত হয়েছে এন্টালি-ট্যাংরা।  স্থানীয়দের দাবি, ঘটনার কেন্দ্রে এলাকার একটি নির্মিয়মাণ বহুতল।


নেপথ্যে প্রোমোটিং চক্র


নির্মিয়মাণ বহুতলের প্রোমোটার শেখ মজহর।
অভিযোগ, টাকা দিয়েও অনেকে ফ্ল্যাট পায়নি।
এক একটি ফ্ল্যাট একাধিক ব্যক্তিকে বিক্রি করা হয়।
নিয়াজুল-কলিম ঘনিষ্ঠ কয়েকজনও টাকা দিয়ে ফ্ল্যাট পায়নি।
এনিয়ে মজহর ও তার দলবলকে হুমকি দেয় নিয়াজুল। 
গুলিতে আহত শেখ আসলাম প্রোমোটার মজহরের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। 


উত্তপ্ত বিবির বাগান; পুলিসের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ


নিয়াজুল বাহিনী হামলা চালিয়ে পালানোর সময় একটি বাইক আটকে ফেলে জনতা। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বাইকে। পুলিসি নিষ্ক্রিতার অভিযোগে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বাসিন্দারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিস বাহিনীর পাশাপাশি এলাকায় নামানো হয় RAF।