নিজস্ব প্রতিবেদন: জীবন যুদ্ধেও 'জয়ী' হলেন 'সাহসীনি'। আনন্দপুর কাণ্ডে গুরুতর জখম নীলাঞ্জনা চট্টোপাধ্যায়ের অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে বলে জানাচ্ছেন চিকিত্সকরা। এই মুহূর্তে তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শনিবার রাতে আনন্দপুরের কাছে এক মহিলাকে শ্লীলতাহানির হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর জখম হন নীলাঞ্জনা। এ দিন একটি জন্মদিনের অনুষ্ঠান সেরে স্বামী-কন্যাকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন নীলাঞ্জনা। আনন্দপুরের আর আর প্লটের একটি আবাসনের সামনে গাড়ির ভিতর এক মহিলার শ্লীলতাহানি হতে দেখেন তিনি। বিপদের ভ্রক্ষেপ না করেই ওই গাড়ির দিকে ছুটে যান। তাঁকে দেখেই নির্যাতিতাকে ফেলে গাড়ি ঘুরিয়ে চম্পট দেয় অভিযুক্ত। সে সময় গাড়ির ধাক্কায় পায়ে সজোরে আঘাত লাগে। মাথাতেও চোট পান তিনি।


নীলাঞ্জনার স্বামী দীপ শতপথী জানান, বাঁ পায়ের হাঁটুর পিছনের হাড় ভেঙে গিয়েছে স্ত্রীর। চিকিত্সকদের কথায়, টিবিয়া ও ফিবুলা হাড় হাঁটুর নীচ থেকে টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছে। প্রায় আড়াই ঘণ্টার প্রচেষ্টায় বিদেশি টাইটেনিয়াম প্লেট বসাতে সক্ষম হয়েছেন চিকিত্সকরা। সফল অস্ত্রোপচার। তবে আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা নীলাঞ্জনাদেবীকে। ক্ষতস্থানে প্লাস্টিক সার্জারি করা হয়েছে। চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, চার মাসের মধ্যেই স্বাভাবিক হাঁটাচলা করতে পারবেন তিনি।


উল্লেখ্য, শনিবার রাত ৮টা নাগাদ নয়াবাদের ফ্ল্য়াটের সামনে থেকে হন্ডা সিটি করে নির্যাতিতাকে ঘুরতে নিয়ে যায় অমিতাভ বসু নামে ওই অভিযুক্ত। প্রথমে যান পাঁটুলির একটি রেস্তোরাঁয়। সেখানে খাওয়া-দাওয়া সেরে বাইপাসের আশপাশে ঘোরাঘুরি করেন তাঁরা। তারপর অজয়নগর, গড়িয়া, কালিকাপুর হয়ে আনন্দনগর। তরুণী জানিয়েছেন, অভিযুক্তকে নয়াবাদে বাড়িতে ছাড়ার জন্য বললে চৌবাঘার দিকে গাড়ি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে সে। বাধা দিতে গেলে চলন্ত গাড়িতেই মারধর করা হয় তরুণীকে।


তদন্তে নেমে পুলিস মহিলাকে নিয়ে পাঁটুলির রেস্তোরাঁয় যায়। সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে ম্যানেজারকে । বাইপাসে যে সব সিগন্যালে গাড়িটি দাঁড়িয়েছিল, সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজও সংগ্রহ করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটজে থেকে গাড়ির নম্বর উদ্ধার হয়েছে বলে জানা যায়। তবে এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত।


আরও পড়ুন: 'এখনই প্রয়োগের কোনও বিষয় নেই', কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতি নিয়ে সাফ কথা পার্থর