ওয়েব ডেস্ক: সুচবিদ্ধ শিশুকন্যার অস্ত্রোপচার সফল। বের করা হয়েছে ৭টি সুচ। শিশুর লিভারে ৩টি সুচ এবং পেটের পেশিতে চারটি সুচ বিঁধে ছিল। তবে এখনই শিশুকে বিপদমুক্ত বলছেন না চিকিত্‍সকরা। আগামী আটচল্লিশ ঘণ্টা তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সাড়ে তিন বছরের ছোট্ট শিশুকন্যা। যন্ত্রণায়, আতঙ্কে কুঁকড়ে রয়েছে। শরীরে বিঁধে সাতটি সুচ। শেষ পর্যন্ত অপারেশন সফল। টানা দুঘণ্টার অস্ত্রোপচারে বের করা হল সাতটি সুচ।


সোমবার রাতেও শিশুটির অবস্থা গুরুতর ছিল। শেষ পর্যন্ত অস্ত্রোপচার হয় কিনা, তা নিয়ে সংশয়ে ছিলেন চিকিত্‍সকরা। সকালে শিশুকন্যার বেশ কয়েকটি মেডিক্যাল পরীক্ষা হয়। চিকিত্‍সকরা সিদ্ধান্ত নেন ওপেন সার্জারি করে সুচ বের করা হবে।


টানা ২ ঘণ্টা অস্ত্রোপচার হয় শিশুকন্যার। দায়িত্বে ছিলেন ৫ জন সার্জেন এবং ২জন অ্যানাসথেটিস্ট। পেটে আড়াআড়ি প্রায় ৬ ইঞ্চি কাটা হয়। লিভার থেকে বের করা হয় ৩ টি সুচ। পেটের পেশিতে বিঁধে থাকা ৪ টি সুচও বের করা হয়। শিশুর শরীরে বিঁধে থাকা ৭টি সুচেই মরচে ধরেছে। এখনও বিপদমুক্ত নয় শিশুটি। আপাতত তাকে পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিকিত্‍সকরা। অপারেশনের  পর ৪৮ ঘণ্টা কেটে গেলে, পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।


শিশু নির্যাতনে অভিযুক্ত সনাতন ঠাকুর এখনও পলাতক। পুলিস সূত্রে খবর, পুরুলিয়া থেকে পালিয়ে ঝাড়খণ্ডের শিরকা গ্রামে নাতনির বাড়িতে যায় সে। কিন্তু সেখানে ঠাঁই মেলেনি সনাতনের। সনাতন বিভিন্ন কীর্তন দলের সঙ্গে যেত। তাই সেদিকেও নজর রেখেছে পুলিস।


মহম্মদ শামির বাড়িতে হামলার অভিযোগে ধৃত তিনজনকে আজ আদালতে তোলা হবে


শরীরে বিঁধে রয়েছে আটটি সূচ, অবস্থা স্থিতিশীল না হওয়ার আগে করা যাবে না অস্ত্রোপচার