ওয়েব ডেস্ক: অরবিট ফ্লোর রিপেয়ারিং অপারেশন হল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বারোজনের চিকিত্সকের দল আজ বেলভিউতে সাংসদের সফল অস্ত্রোপচার করলেন। কিন্তু, অরবিট ফ্লোর রিপেয়ারিং অপারেশন কী? কীভাবে হয় এই অস্ত্রোপচার?  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

চিকিত্সকদের পরিভাষায় অরবিটো জাইগোম্যাটিক কমপ্লেক্স। মুখের গঠন অনেকটাই নির্ভর করে এই অংশের হাড়ের ওপর। সিঙ্গুরে পথ দুর্ঘটনায় এই হাড়েরই একটা অংশ ভেঙেছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বাঁচোখের নিচের সেই হাড়েই  মঙ্গলবার অস্ত্রোপচার করলেন ম্যাক্সিলো ফেসিয়াল বিশেষজ্ঞরা। যার পোশাকি নাম অরবিট ফ্লোর রিপেয়ারিং।


অরবিট ফ্লোর রিপেয়ারিং কী?


অরবিট ফ্লোর রিপেয়ারিং কী তা বুঝতে গেলে আগে বোঝা দরকার চোখের গঠন। আমাদের চোখের চারটে দিক। চিকিত্সা পরিভাষায় মিডিয়াল ওয়াল, ল্যাটেরাল ওয়াল, রুফ ওয়াল ও ফ্লোর ওয়াল। চোখের নিচের দিকটাকে বলা হয় ফ্লোর ওয়াল। এখানকার কোনও হাড় ভাঙলেই দরকার পড়ে অরবিট ফ্লোর রিপেয়ারিং অপারেশনের।


কীভাবে অস্ত্রোপচার?


অরবিট ফ্লোর রিপেয়ারিংয়ের জন্য দরকার ম্যাক্সিলো ফেসিয়াল বিশেষজ্ঞদের। প্রথমেই রোগীকে অজ্ঞান করা হয়। তারপর ক্লিপিং করে আটকে দেওয়া হয় চোখের পাতা।


এবার স্ক্যালপল দিয়ে সূক্ষভাবে চোখের নীচের অংশ কাটা হয়। যন্ত্রের মাধ্যমে কিছুটা ওপরে তোলা চোখ। পরের ধাপে, অক্ষিকোটরের নীচের অংশ পর্যবেক্ষণ করেন বিশেষজ্ঞরা। খতিয়ে দেখা হয় ওই অংশের কোনও মাসল কতটা ক্ষতিগ্রস্থ  হয়েছে? কোনও হাড় ভেঙেছে কিনা।


আরও পড়ুন- কেমন আছেন অভিষেক? হল অস্ত্রপচার...


অরবিটাল ফ্লোরের আঘাত গুরুতর হলে প্লেট বসানোর দরকার পড়ে। কাগজের মতো পাতলা সূক্ষ্ম টাইটেনিয়াম প্লেট বসানো হয় অরবিটাল ফ্লোরে। দুটি স্ক্রুর মাধ্যমে প্লেটটি আটকে দেওয়া অরবিটাল ফ্লোরে। ভাবছেন তো এখানেই শেষ? মোটেই নয়। প্লেট ঠিকমতো বসল কিনা, চোখের পরিস্থিতি ঠিক কী তা খতিয়ে দেখেন চিকিত্সকরা। যার নাম FLOOR DUCTION TEST।  


ফ্লোর ডাকসন টেস্ট
অরবিট ফ্লোর রিপেয়ারিং অপারেশন ঠিকঠাক হল কিনা তা খতিয়ে দেখতে এই পরীক্ষা করা হয়। চোখের মণি ঠিকঠাক কাজ করছে কিনা, সবদিকে ঘোরানো যাচ্ছে কিনা তা বলে দেয় এই টেস্ট। এটাই অরবিট ফ্লোর রিপেয়ারিং অপারেশন। ম্যাক্সিলো ফেসিয়াল বিশেষজ্ঞদের কাজও এখানেই শেষ।


আরও পড়ুন-  আজ দুপুর সাড়ে বারোটায় অস্ত্রোপচার তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের