নিজস্ব প্রতিবেদন : দেড় সপ্তাহের মধ্যে ফের শহর কলকাতায় মরণোত্তর অঙ্গদানের নজির। বারুইপুরের বলরামপুরের বাসিন্দা রঞ্জন রায়ের ব্রেন ডেথ হওয়ায় তাঁর অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত নেয় তাঁর পরিবারের লোকজন। রঞ্জনবাবুর কিডনি পাচ্ছেন দু'জন গ্রহিতা। অনেকের মধ্যেই বেঁচে থাকুন রঞ্জন রায় চান, পরিবারের লোকজন।    


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শনিবার খিদিরপুরে একটি বাস দুর্ঘটনায় আহত হন বারুইপুরের বলরামপুরের বাসিন্দা ৪৯ বছর বয়সী রঞ্জন রায়। দুর্ঘটনার পরই বেসরকারি সংস্থার ওই কর্মীকে সিএমআরআই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুর্ঘটনার জেরে ব্রেন হ্যামারেজ হয় তাঁর। সোমবার রাতে চিকিত্সকরা জানিয়ে দেন, রঞ্জনবাবুর ব্রেন ডেথ হয়েছে। পাশাপাশি রঞ্জন বাবুর অঙ্গদানের বিষয়টি নিয়ে তাঁর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন সিএমআরআই হাসপাতালের চিকিত্সকরা। এরপরেই পরিবারের তরফ থেকে অঙ্গদানের বিষয়ে রাজি হয়। তাঁরা চান অনেকের মধ্যেই বেঁচে থাকুন রঞ্জন রায়।


জানা গিয়েছে, রঞ্জন রায়ের দুটি কিডনি দু'জনকে দেওয়া হবে। এসএসকেএমে দান করা হয়েছে ত্বকও। চোখ দান করা হয়েছে শঙ্কর নেত্রালয়ে। তবে লিভার দান করা সম্ভব হয়নি। মঙ্গলবার রাতেই গ্রিন করিডরের মাধ্যমে মাত্র সাত মিনিটের মধ্যে সিএমআরআই থেকে এসএসকেএমে নিয়ে আসা হয় কিডনি। এসএসকেএম সূত্রে জানা গিয়েছে রঞ্জন বাবুর কিডনি দু'জন গ্রহিতা পাচ্ছেন। তবে মরনোত্তর দেহদানের নজির আরও হোক চাইছেন রঞ্জন বাবুর পরিবার। অঙ্গদানের প্রচার আরও বেশি করে হোক চাইছেন চিকিত্সকমহলও।