কিডনি ও লিভার দান করে নজির গড়লেন ৫৭ বছরের কল্যাণী
মরণের পরও মানবতার গান গেয়ে নজির গড়লেন কল্যাণী সরকার। তাঁর ও তাঁর পরিজনদের উদ্যোগে ফের একবার অঙ্গদানের নজির হল শহর কলকাতায়। কল্যাণীদেবীর হৃদযন্ত্র, লিভার ও কিডনি প্রতিস্থাপিত হল অ্যাপোলো ও এসএসকেএম হাসপাতালে। মৃত্যুর পর আর্তকে জীবন দিয়ে গেলেন এক প্রৌঢ়া।
নিজস্ব প্রতিনিধি : মরণের পরও মানবতার গান গেয়ে নজির গড়লেন কল্যাণী সরকার। তাঁর ও তাঁর পরিজনদের উদ্যোগে ফের একবার অঙ্গদানের নজির হল শহর কলকাতায়। কল্যাণীদেবীর হৃদযন্ত্র, লিভার ও কিডনি প্রতিস্থাপিত হল অ্যাপোলো ও এসএসকেএম হাসপাতালে। মৃত্যুর পর আর্তকে জীবন দিয়ে গেলেন এক প্রৌঢ়া।
গত ২৮ অক্টোবর বাড়ির শৌচাগারে পড়ে গিয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন মহেশতলার বাসিন্দা বছর সাতান্নর কল্যাণী সরকার। প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। সেখান থেকে আরএন টেগোর ইন্সসটিটিউট অফ কার্ডিয়াক সায়েন্সেস... দিন পনেরো যমে মানুষে টানাটানির পর বৃহস্পতিবার চিকিত্সকরা জানিয়ে দেন, ব্রেইন ডেথ হয়েছে কল্যাণীদেবী। এর পরই অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত নেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
আরও পড়ুন- প্রতিবন্ধী আধার কার্ডে গড়িমসি, কেন্দ্রকে তিরস্কার কলকাতা হাইকোর্টের
সেই মতো শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হয় প্রক্রিয়া। যোগাযোগ করা হয় নোডাল অফিসারের সঙ্গে। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ নোডাল অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি আরএন টেগোর হাসপাতালের আধিকারিকরা। শেষ পর্যন্ত অঙ্গদান সম্ভব হবে কি না তা নিয়েই আশঙ্কা তৈরি হয়। পরে নোডাল অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হলে অঙ্গদানের প্রক্রিয়া এগোয়।
কল্যাণী সরকারের হৃদযন্ত্র, লিভার ও দু'টি কিডনি চিকিত্সকরা সংগ্রহ করেছেন। এর মধ্যে একটি কিডনি অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিত্সাধীন এক ব্যক্তির দেহে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। লিভার প্রতিস্থাপন হয়েছে এসএসকেএম-এ। তবে হৃদযন্ত্রটি প্রতিস্থাপন সম্ভব হয়নি।