পায়েল খাঁড়া


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দশভূজা দেবী দুর্গা শুধুমাত্র অসুরদলনী রণচণ্ডী-ই নন, তাঁর মধ‍্যেই বিরাজ করছে আদি জগৎ মাতার স্নেহ সলিলা রূপ। আর তাঁর সেই অভয়দায়িনী মাতৃস্বরূপাকেই আরাধ‍্যা দেবী হিসেবে মৃণ্ময়ী রূপ দিতে চলেছে পাহাড়পুর হরিসভা পুজা কমিটি।


আরও পড়ুন- ‘তিনি আছেন এবং সর্বত্রই আছেন’


এবছর এই পুজোর  থিম- "উমা এল ঘরে’, যেখানে  ‘রণং দেহী’ রূপের পরিবর্তে দু্র্গা স্নিগ্ধ ক্ষমাধাত্রী রূপেই বন্দিতা হবেন।


বাংলার চিরন্তন মেয়ে উমা। অস্ত্রের ঝঙ্কার নয়, যুক্তিবাদী ঠান্ডা লড়াইয়ের মাধ‍্যমেই তিনি দূর করছেন মনের অন্ধকার । এবং তাঁর  শুচি আলোকে নিজের ভুল বুঝে নতি স্বীকার করছে সমস্ত অশুভ শক্তি। ১৯৩০ সালে প্রতিষ্ঠিত এই পুজোর দায়িত্ব এতদিন সামলে এসেছেন এলাকার বয়ঃজ‍্যেষ্ঠ সদস‍্যবৃন্দ। কিন্তু এবার সেই গুরুভার তরুণ প্রজন্মের কাঁধে, বিশেষত নারীশক্তিই এগিয়ে এসেছে ‘মা দুর্গা’র আরাধনার ব্রত নিয়ে। আর সঙ্গে এসেছে নব ভাবনা নব উদ‍্যোগ। পুজোর পাশাপাশি নিজেদের সামাজিক দায়-দায়িত্ব সম্পর্কেও যথেষ্ঠ ওয়াকিবহাল পাহাড়পুর হরিসভা পুজা কমিটি।


আরও পড়ুন- সপ্তমী, অষ্টমী না নবমী? কবে কোথায় ভারী বৃষ্টি হবে, স্পষ্ট করল আবহাওয়া দফতর


মারণরোগ 'ডেঙ্গু'র প্রতিরোধ ও প্রতিকার সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে বিশেষ কিছু উদ‍্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও গরীব ও দুঃস্থ বাচ্চাদের বস্ত্র বিতরণের আয়োজনও করা হয়েছে যাতে অন্তত পুজার কয়েকটা দিন তারা হাসি মুখে মিশে যেতে পারে উত্সবের স্রোতে। সব মিলিয়ে একটা সর্বাঙ্গীন আনন্দানুষ্ঠানে সবাইকে সাদর আমন্ত্রন জানাচ্ছে পাহাড়পুর হরিসভা পুজো কমিটি।