Panchayat election 2023: বাড়ছে মনোনয়নের সময়! পঞ্চায়েত মামলায় কী জানাল হাইকোর্ট?
বিরোধী দলনেতার দাবি, কমপক্ষে ১২ দিন সময় দেওয়া হোক মনোনয়ন পেশের জন্য। সব বুথে সিসিটিভি লাগানো হোক। গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি আর জেলা পরিষদের গণনা যেন একসঙ্গে হয়। চুক্তিভিত্তিক কর্মী এবং মামলা বিচারাধীন থাকা শিক্ষক শিক্ষিকাদের যেন ভোটের কাজে ব্যবহার করা না হয়।
অর্ণবাংশু নিয়োগী: হাইকোর্টে পঞ্চায়েত মামলার (Panchayat election 2023) শুনানি। মনোনয়ন জমার সময় যথোপযুক্ত নয় বলে মনে হচ্ছে। পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta Highcourt)। ১২ জুনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ। পঞ্চায়েতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে আদালতে যান অধীর-শুভেন্দু। মনোনয়নের দিন বাড়ানোর আর্জি করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। অনলাইনে মনোনয়নের দাবিতে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করে মামলা দায়েরের অনুমতি চান অধীরও। মামলার অনুমতিও দেয় হাইকোর্ট।
প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে আদালতের মন্তব্য, 'মনোনয়ন পেশের সময় পর্যাপ্ত নয়। কমিশনকে তাদের এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে হবে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত গোটা প্রক্রিয়া ভিডিয়োগ্রাফি করতে হবে। রাজ্য প্রয়োজন হলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে একত্রে কাজ করতে পারে।' যদিও এই বিষয়ে রাজ্য আগামী সোমবার তাদের সিদ্ধান্ত জানাবে। পঞ্চায়েত মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী সোমবার। মনোনয়ন পেশের সময়সীমা সম্পর্কে নিজেদের অবস্থান জানাবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
কলকাতা হাইকোর্ট আরও জানায়, নির্বাচন বন্ধ করার জন্য এই মামলাগুলি দায়ের হয়নি। শান্তিপূর্ণ ভোট যাতে হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। শান্তিপূর্ণ ভোটের লক্ষ্য নিয়ে কমিশনকে এগোতে হবে। নির্বাচনে সিভিক ভলান্টিয়ারদের কাজে লাগানোর বিষয়ে সম্ভবত আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সেটাও কমিশনকে মাথায় রাখতে হবে। যদিও কমিশনের বক্তব্য, অন্যান্যবারেও মনোনয়ন পেশের জন্য এইরকম সময় দেওয়া হয়। মামলার শুনানি সোমবার করলে ভালো হয়। যদি আদালত মনোনয়ন পেশের সময় বাড়াতে চায় তাহলে সেটা সোমবারও করা যেতে পারে।
অন্যদিকে রাজ্যের বক্তব্য, বিজ্ঞপ্তি জারি হয়ে গেলে আদালত নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করতে পারে না। বিচারপতি জানায়, নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘ্নে হয় সেটাই কমিশনের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। সেই লক্ষ্যেই তাদের কাজ করা উচিত। সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা করার জন্য কী কী করা যায় সেই পরিকল্পনা কমিশনকে করতে হবে। আদালতের বার কাউন্সিলের নির্বাচনেও সিসিটিভি লাগানো হয়েছিল। মনোনয়ন পেশ যাতে অনলাইনে করা যায় সেই সংক্রান্ত আইনে পরিবর্তন আনা উচিত ছিল। এই প্রযুক্তির যুগে এই পরিবর্তন আনা উচিত।
তিনি আরও বলেন, রাজ্যের এ বিষয়ে পরিবর্তন এনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা উচিত। অনলাইনে মনোনয়ন পেশ হলে গোটা বিষয়টা অত্যন্ত সহজ হয়ে যাবে। স্ক্রুটনির কাজ সহজ হয়ে যাবে। প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে অ্যালার্জি থাকলে হবে না। নির্বাচন পরিচালনা করার সব ক্ষমতা কমিশনের হাতে রয়েছে। তারা চাইলে যে কোনও আধিকারিককে বদলি করতে পারেন।
আরও পড়ুন, Panchayat Election 2023: ফের পঞ্চায়েত নিয়ে মামলা দায়ের, এবার আদালতে বিরোধী দলনেতা