Panchayat Vote: `বিডিওরাই গণ্ডগোলের মাথা, তৃণমূলকে সুবিধা পাইয়ে দিচ্ছেন`, ভোট নিয়ে ফের সরব দিলীপ
এদিন উলটো রথে দুর্ঘটনাতেও দুঃখপ্রকাশ করেছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। অনেক সময় তীর্থ ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে চলে যায়। যারা শকুনের মতো তাকিয়ে থাকে, মানুষের মৃত্যু নিয়েও রাজনীতি করে, বোঝাই যায় তারা কতটা হতাশ। পার্টি ডুবে যাচ্ছে। সরকার ডুবে যাচ্ছে। দিশেহারা হয়ে খড় কুটো ধরে বাঁচতে চাইছেন।`
অয়ন ঘোষাল: উলটো রথের দিন বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে ঘটে গিয়েছে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। ত্রিপুরার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের মতে নিহতের সংখ্যা কমপক্ষে ১০। আহত প্রায় ১৫ জন। আর ত্রিপুরা দুর্ঘটনা ঘিরে বাগযুদ্ধ শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এ বিষয়ে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। অনেক সময় তীর্থ ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে চলে যায়। যারা শকুনের মতো তাকিয়ে থাকে, মানুষের মৃত্যু নিয়েও রাজনীতি করে, বোঝাই যায় তারা কতটা হতাশ। পার্টি ডুবে যাচ্ছে। সরকার ডুবে যাচ্ছে। দিশেহারা হয়ে খড় কুটো ধরে বাঁচতে চাইছেন। কোথায় রাজনীতি করতে হয় আর কোথায় করতে নেই, ওরা সেটাও জানে না।'
আরও পড়ুন, Gariahat Fire: বহুতলে আগুন, কালো ধোঁয়া! গড়িয়াহাটে আতঙ্ক...
এদিকে রোজই পঞ্চায়েত ভোট শিরোনামে কোচবিহার। এ বিষয়ে বিজেপি নেতা বলেন, 'আগেও বলেছি, সিতাই, শীতলকুচি আর দিনহাটা হল উপদ্রুত এলাকা। আমাদের লোকসভায় মানুষ জিতিয়েছে। বিধানসভার দুটো আসন জিতেছি। পরে উপনির্বাচনে কি হয়েছে আপনারা দেখেছেন। বাইরে থেকে লোক এনে ওখানে ওরা এসব কাজ করে। বিএসএফ ওখানেই গুলি চালিয়েছিল। জনজোয়ার ওরা ওখান থেকেই শুরু করেছে। মুখ্যমন্ত্রী ওখান থেকেই প্রচার শুরু করেছেন। রাজনীতিতে খুব গুরুত্বপূর্ণ কোচবিহার। কিন্তু ওখানকার মানুষ উন্নয়নের কোনও স্বাদ পান না। যদি স্বাদ পেয়ে থাকেন, তাহলে বলব, হাইওয়ে তৈরি হয়েছে। মোদী করেছেন। বন্দে ভারত চালু হয়েছে। সেটাও মোদী করেছেন। কেন্দ্র সুবিধা করেছে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের প্রাণ নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন।'
পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে অবশেষে তৎপর কমিশন। একাধিক জেলার বিডিওদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চলেছে কমিশন। ভাঙড়, মিনাখার বিডিওদের শোকজ করা হতে পারে। দিলীপ ঘোষ কটাক্ষেপ সুরে বলেন, 'বিডিওরাই গণ্ডগোলের মাথা। বিডিও অফিস ঘুঘুর বাসা। পঞ্চায়েত ভোট ওখান থেকেই পরিচালনা হচ্ছে। মনোনয়ন দিয়েও বাতিল করা ওখান থেকেই হচ্ছে। তৃণমূলকে অনৈতিক ভাবে সুবিধা দেওয়া। বাধ্য হয়ে বা ভালো সাজার জন্য বিডিওরা এইসব কাজ করছেন। অত্যন্ত নিন্দনীয়। ১০০ দিনের কাজের টাকা বিডিও অফিস থেকেই লুঠ হচ্ছে।'
তৃমূলের যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষকে তলব করে সমন পাঠিয়েছে ইডি। এ বিষয়েই কিছুটা কটাক্ষ করেই বিজেপি নেতা বলেন, 'তৃণমূল যুব আছে কোথায়? সায়নী নেত্রী হতে গিয়েছিল। উনি আজ কোথায়? ওনাকে প্রেসিডেন্ট করিয়ে তারপর সরানো হয়েছে। আমার মনে হয়, উনি ঠিকমত টাকাপয়সা সাপ্লাই করতে পারছিলেন না বলে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যা করেছেন, তার তো জবাব দিতে হবে।'
আরও পড়ুন, Kolkata Police: পুলিসকর্মীদের উপরেও নজরদারি! আসছে নয়া আইডি কার্ড...