নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যে পঞ্চায়েতে নির্বাচনের দামামা বেজে গেল। আগামী ১ থেকে ৫ মে, তিন দফায় রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। এদিনই কমিশনের পক্ষ থেকে জারি করা হল পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি। দার্জিলিং ও কালিম্পং বাদে, বাকি ২০টি জেলাতেই পৌঁছে গেছে বিজ্ঞপ্তি। একইসঙ্গে বিজ্ঞপ্তি পৌঁছেছে নবান্নেও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে প্রশাসনিক স্তরেও শুরু হয়ে গেছে তত্পরতা। নবান্নেও শুরু হয়েছে ভোটের জোর প্রস্তুতি। রাজ্য প্রশাসনের প্রধান কার্যালয়ে ইতিমধ্যেই পঞ্চায়েত নির্বাচন উপলক্ষে একটি পৃথক সেল খোলা হয়েছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখবে এই সেল। পাশাপাশি, প্রতিটি জেলার ভোট সংক্রান্ত সবদিকেই নজর রাখতে পঞ্চায়েত নির্বাচন সেল।


আরও পড়ুন, পঞ্চায়েতের ঢাকে কাঠি, ঘোষিত হল চূড়ান্ত নির্ঘণ্ট


তবে একদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে শাসকশিবিরের প্রস্তুতি যখন একেবারে শেষ পর্যায়ে, তখন অনেকটাই ছন্নছাড়া বিরোধী শিবির। বাংলার গ্রামগঞ্জের মাটিতে লড়াইয়ের জন্য নিজেদের ঘর গুছানো প্রায় শেষ শাসকদল তৃণমূলের। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামলে কাকে কোন আসনে প্রার্থী করা হবে, শুরু হয়ে গেছে সেই বাছাই প্রক্রিয়া।


আরও পড়ুন, পঞ্চায়েতে দলের কাণ্ডারী মুকুল নাম-ই জানেন না রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের!


এদিনই ভবানীপুরে দলীয় কার্যালয়ে বৈঠকে বসেন সুব্রত বক্সী, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় প্রার্থীবাছাই নিয়ে দলের অন্দরে কোনওভাবে যাতে কোনও অসন্তোষ মাথাচাড়া দিতে না পারে, সেজন্য সবদিকে সমন্বয় রেখে চলা হবে। তৃণমূল ও তাঁর যুব সংগঠনের মধ্যে সমন্বয় রেখেই তৈরি হবে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা। যদিও দলীয় সূত্রে খবর, প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে 'নব্য তৃণমূলী' অপেক্ষা পুরনোদেরই বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।


আরও পড়ুন, আসানসোলের ঘটনায় ইস্তফা দিতে চান বাবুল? টুইট ঘিরে জমাট জল্পনা


কিন্তু অন্যদিকে, হঠাত্ পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ায় কার্যত দিশেহারা দশা বিরোধী শিবিরের। বৈঠকের সময় নেই, বাম শিবিরে তাই গেরোয় প্রার্থী বাছাইপর্ব। পাশাপাশি, এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে জোট বেঁধে লড়াইয়ের কোনও সম্ভাবনা নেই। ফলে অথৈ জলে পড়েছে হাত শিবিরও।