নিজস্ব প্রতিবেদন: পার্শ্বশিক্ষকদের নবান্ন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার। ঘটনায় কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার। নিজেদের একাধিক দাবি-দাওয়া নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন পার্শ্বশিক্ষক-শিক্ষিকারা। এরপর পুলিস তাঁদের সরাতে এলেই ধুন্ধুমার বাঁধে। ব্য়ারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করতেই পরিস্থিতি চরমে পৌঁছয়। যদিও আন্দোলনরত পার্শ্বশিক্ষকদের সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারেই আটকে দেয় পুলিস। তুমুল ধস্তাধস্তি শুরু হয় দুই পক্ষের। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আন্দোলনকারীদের দাবি আজ নবান্ন অভিযানের কর্মসূচি ছিল তাঁদের, সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে জমায়েত করে রানী রাসমনি রোডের দিকে এগোনোর অনুমতিও ছিল। তবে পুলিস তাঁদের দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করায়। প্রায় তিন ঘণ্টা রাস্তা অবরোধের পর ধৈর্য হারিয়ে এগোনোর চেষ্টা করতেই ধুন্ধুমার বাধে। পুলিসের বিরুদ্ধে লাঠিচার্জের অভিযোগ তুলেছেন বিক্ষোভকারীরা। যদিও অভিযোগে অস্বীকার করেছে পুলিস। 


আরও পড়ুন:  শিলিগুড়িতে INTTUC-র বিক্ষোভের জের, অঘোষিত বনধের জেরে নাকাল সাধারণ মানুষ


শুধু তাই নয়, পুলিসের বিরুদ্ধে মহিলা-পুলিস নির্বিশেষে মারধরের অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। জখম হয়েছেন বেশ কয়েজন। বেশকয়েকজন আন্দোলনকারীকে আটক করেছে পুলিস। আন্দোলনকারীদের দাবি তাঁরা শান্তিপূর্ণ অবস্থানের পথেই হাঁটছিলেন, এমনকী অনুমতি দেওয়ার পরও তাঁদের আটকানো হয়। তাঁরা শুধুমাত্র দাবি-দাওয়ার ডেপুটেশন জমা দিতে চান। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।


যদিও পুলিসের বক্তব্য, বিধানসভা চলার কারণে এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। সেই কারণেই তাঁদের এগোতে দেওয়া সম্ভব নয়। এ দিকে ফের একজোট হয়ে অবস্থানে বসে গিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। জলকামান, ব্যারিকেড নিয়ে এলাকায় পৌঁছে গিয়েছে RAF এবং কমব্যাট ফোর্সও। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি ঘিরে উত্তেজনা অব্য়াহত।