জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো:  দু-আড়াই মাস ধরে 'পরেসান' করছিল ডিপার্টমেন্টের লোক। জাদুঘরে গুলি (Indian Museum Shooting) চালানোর ঘটনায় এমনই উত্তর দিলেন অভিযুক্ত জওয়ান এ কে মিশ্র। সহকর্মীদের হেনস্থার শিকার হয়েই এই পদক্ষেপ বলে বিস্ফোরক দাবি অভিযুক্তের। শনিবার নিউমার্কেট থানায় ম্যারাথন জেরার সম্মুখীন হয় আত্মসমর্পণকারী জওয়ান অক্ষয় কুমার মিশ্র। সারারাত থানাতেই ছিলেন ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অফিসাররা। মধ্যরাতে ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্টের ফরেনসিক টিম পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে ফিরে গিয়েছেন লালবাজারে। পুলিস সূত্রে খবর, প্রায় সারা রাতই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ওই জওয়ানকে। জিজ্ঞাসাবাদের মধ্যেই হালকা খাবার দেওয়া হয়েছিল। পুলিস সূত্রে খবর আত্মসমর্পণকারীর জবানে মানসিক অবস্থা স্বাভাবিক। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা গাড়িকে রাত ২টো থেকে ৩ পর্যন্ত নমুনা সংগ্রহ করে ফরেন্সিক টিম। রবিবার সকালেই তাকে মেডিক্যাল চেকআপে নিয়ে যাওয়া হবে এরপরে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করবেন আধিকারিকরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, Kolkata Indian Museum Shooting: দেড় ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস অভিযান! গ্রেফতার জাদুঘরে তাণ্ডব চালানো সিআইএসএফ জওয়ান


এদিন গাড়িতে তোলার সময়  অভিযুক্ত হেড কনস্টেবল একে মিশ্র বলেন, 'সবসময় বিরক্ত করত। দু-আড়াই মাস ধরে হেনস্থা করছিল ইন্সপেক্টর।' সহকর্মীদের হেনস্থা, কটুক্তির শিকার তিনি। মানসিকভাবে বিরক্ত হয়ে ওঠে ওই জওয়ান। এরপরই পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। অ্যাসিন্ট্যান্ট কমান্ডান্ট সুবীর ঘোষই ছিলেন তার মূল লক্ষ্য। কিন্তু মাঝখানে চলে আসেন রঞ্জীত সারঙ্গি। উল্লেখ্য, বুলেট প্রুফ জ্যাকেট পরে নেওয়ার পর বারাকের মুল গেট থেকে কিছুটা এগিয়ে গিয়ে একটি দেওয়ালের কাছে গুলি চালাতে শুরু করে অক্ষয়। গুলি চালানো শুরু করার সঙ্গে সঙ্গেই বিপদ বুঝে সামনে দাঁড়ান অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর রঞ্জিত সরঙ্গি। তখনই তাঁর মাথা ঝাঁঝরা হয়ে যায় গুলিতে। ঘটনাটি ঘটতে দেখে পালাতে শুরু করেন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ডার সুবীরবাবু। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁকে লক্ষ্য করে বার্স্ট ফায়ারের করতে শুরু করে অভিযুক্ত। তখনই সুবীরবাবুর শরীরে গুলি লাগে। 


সূত্রের খবর, সহকর্মীর থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে গুলি চালাতে থাকে অভিযুক্ত জওয়ান এ কে মিশ্র। পুলিস সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী,বারাকের আরমার ইনচার্জ অক্ষয়কুমার মিশ্র অস্ত্রভান্ডার থেকে একটি একে-৪৭ রাইফেল তুলে এলোপাথারি গুলি চালাতে শুরু করে। ১৫ রাউন্ড গুলি চলে। প্রথমেই তিনি আত্মসমর্পন করেননি। প্রায় দেড়ঘণ্টার চেষ্টায় ধরা দেন তিনি। তাঁর শর্ত ছিল, বিনা অস্ত্রে ভিতরে প্রবেশ করতে হবে পুলিস আধিকারিকদের। তবেই সে নিরস্ত্র অবস্থায় ধরা দেবে। সেই শর্ত মেনেই কলকাতা পুলিসের ডিসি সেন্ট্রাল বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরে হাতে মাইক এবং টর্চ নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করেন। তারপরেই উদ্দেশ্য সফল হয়।


আরও পড়ুন, Indian Museum Shooting: পার্কস্ট্রিটে ভারতীয় জাদুঘরে এলোপাথাড়ি গুলিতে মৃত ১, ঘটনাস্থলে কম্য়ান্ড বাহিনী


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)