দিলীপ ঘোষের বদলে বিজেপি সভাপতি হতে পারত কোনও `জন্তু-জানোয়ার`!
`পার্ক সার্কাস বা শাহিনবাগে যাঁরা আছেন, এত ঠান্ডায় কী করে আছেন? মরেও না তো কেউ?`
নিজস্ব প্রতিবেদন : কোনও রাখঢাক নেই। প্রকাশ্যে একেবারে সরাসরি আক্রমণ। দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) বদলে বিজেপি সভাপতি (BJP) হতে পারত কোনও 'জন্তু-জানোয়ার'! কারণ তাদের মধ্যেও মায়া-মমতা আছে। ঠিক এই ভাষাতেই আজ বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে আক্রমণ করলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। তৃণমূল মহাসচিব বলেন, "দিলীপ ঘোষের বদলে জন্তু, জানোয়ারকে সভাপতি করে দেওয়া যেত। কারণ তাদের মধ্যে মায়া মমতা আছে।" এদিন সরস্বতী পুজোয় নিজের কলেজ, আশুতোষ কলেজে যান শিক্ষামন্ত্রী। সেখানেই এই মন্তব্য করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, শাহিনবাগ ও পার্ক সার্কাসের CAA ও NRC বিরোধী বিক্ষোভকারীদের বিঁধতে গিয়ে গতকাল বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন,''পার্ক সার্কাস বা শাহিনবাগে যাঁরা আছেন, এত ঠান্ডায় কী করে আছেন? মরেও না তো কেউ? অথচ নোট বাতিলের সময় ব্যাঙ্কের লাইনে কত লোক মরে গেল!'' দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যের পরই শোরগোল পড়ে যায়। নিন্দায় সরব হয় সব মহল। এদিন সেই প্রসঙ্গেই দিলীপ ঘোষকে একহাত নেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
একদিকে দিল্লির শাহিনবাগ (Shaheen Bagh), অন্যদিকে পার্ক সার্কাস। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ আন্দোলনে অন্য মাত্রা যোগ করেছে এই দুই জায়গা। কোনও রাজনৈতিক দলের রং এড়িয়ে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন মুসলিম মহিলারা। বিরোধিতায় তাঁদের অটল অবস্থান দেশজুড়ে প্রশংসা, বাহবা কুড়িয়েছে। সেখানে শহিনবাগের বিক্ষোভ নিয়ে একের পর এক কুমন্তব্য করে চলেছেন বিজেপি নেতারা। সোমবারই সিএএ বিক্ষোভকারীদের গুলি করে মারার নিদান দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। এরপরই মঙ্গলবার শাহিনবাগের বিক্ষোভস্থলে এক যুবক বন্দুক হাতে ঢুকে পড়ে বলে অভিযোগ আন্দোলনকারীদের।
আরও পড়ুন, জেডিইউ থেকে বহিষ্কৃত প্রশান্ত কিশোর কি এবার তৃণমূলে? জোর জল্পনা
আরও পড়ুন, পাতে গরম খিচুড়ি, মুখে ক্ষোভ, সরস্বতী পুজোয় নীল পাঞ্জাবিতে খোলামেলা শিক্ষামন্ত্রী
অন্যদিকে, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরেও নিজেদের অবস্থানে অনড় রয়েছেন পার্ক সার্কাসের বিক্ষোভকারীরা। কেন্দ্রের বক্তব্য না শুনে CAA-NRC-র উপর কোনও স্থগিতাদেশ দেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। যদিও তারপরেও পার্ক সার্কাসের আন্দোলনকারী আসমাত-এ-জমিন স্পষ্ট করে দেন, "মন ভেঙে গিয়েছে। তবে কিছুতেই পিছপা হব না আমরা। সুপ্রিম কোর্ট এক মাসের সময়সীমা দিয়েছে। সবাই ভাবছে, এই দীর্ঘ সময়ে আমরা বাড়ি চলে যাব। কিন্তু আমরা বৃহত্তর আন্দোলেনর পথে হাঁটব।"