নিজস্ব প্রতিবেদন: ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে বাজবে  বিজেপির বিদায় ঘণ্টা।  বিজেপিকে কটাক্ষ তৃণমূলনেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তিনি বলেন, “৯২ সালে বামফ্রন্টের মৃত্যু ঘণ্টা বেজেছিল। এবার সময় বিজেপির। ১৯ জানুয়ারির ব্রিগেড থেকে মৃত্যুঘণ্টা বাজবে বিজেপির।” একই সুর ফিরহাদ হাকিমের গলাতেও। তিনি বলেন, “১৯ জানুয়ারি ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে বিজেপি হটানোর ডাক দেওয়া হবে। মানুষ তাতে সামিল থাকবে।”


লোকসভা নির্বাচনের আগে বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে শাসকদলের প্রধান প্রতিপক্ষ হিসাবে উঠে আসা শিবিরকে নিজের শক্তিপ্রদশর্নের জায়গা ব্রিগেডের সমাবেশ। মানুষের 'রেকর্ড' সংখ্যক উপস্থিতি আর জ্বালাময়ী বক্তৃতার মাধ্যমে  রাজ্যের আমজনতাকে  উজ্জীবীত করার মঞ্চ হল ব্রিগেডের সভা। নিজেদের সাংগঠনিক শক্তি প্রদর্শনও হবে এই সভার মাধ্যমেই। তাই শাসকদলের কাছে মূল চ্যালেঞ্জ, এবারের ব্রিগেডের ভিড় যেন ছাপিয়ে যায় আগের সমস্ত রেকর্ড।


আরও পড়ুন: ৪১ বছর পর কলকাতায় আবার সার্কাস হবে, ১৯’এর ব্রিগেডকে কটাক্ষ মুকুলের


১৯’এর ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে তৃণমূল নেত্রী ও অন্যান্য বক্তাদের বক্তব্যের সিংহভাগে জুড়েই যে বিজেপি থাকবে, তা প্রায় একেবারেই অরাজনৈতিক ব্যক্তির কাছেও স্পষ্ট। কিন্তু এখন থেকেই তার মহড়া শুরু করে দিলেন নেত্রীর সেনাপতিরা।


বিজেপিকে বাংলা ছাড়ার ডাক দিয়ে এখনও থেকেই সুর চড়িয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিমরা।  তবে পাল্টা দিতে ভোলেনি বিজেপি শিবিরও।


আরও পড়ুন: রথযাত্রা করতে চেয়ে ফের নবান্নে বিজেপি, গৃহীত হল চিঠি


মালদায় মুকুল রায় তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশকে কটাক্ষ করে বলেন, “ ৪১ বছর আগে কলকাতার ব্রিগেডে সার্কাস হয়েছিল, জ্যোতি বসু নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এবার  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সেখানে আরও একটি সার্কাস হবে।”


তৃণমূলের ব্রিগেড থেকে যে কী বার্তা আসবে বাংলার জনগণের কাছে, তা একপ্রকার স্পষ্ট। কিন্তু তাতে কী নতুনত্ব ও সংযোজন থাকে, সেটাই দেখার।