Bengal SSC Scam News: নিয়োগ দুর্নীতি ধামাচাপা দিতে ৫ হাজারেরও বেশি `ডাইং ক্যাডার পোস্ট`! ফাঁস ভয়ংকর তথ্য
Bengal SSC Scam News: Zee ২৪ ঘণ্টার অন্তর্তদন্তে উঠে এসেছে, চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রায় প্রতি জেলা থেকে টাকা তোলা হয়। অভিযোগ, প্রার্থীপিছু ১০ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঘুষ নেওয়া হয়েছে। টাকা দিয়েও অনেকে চাকরি পাননি।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: স্কুল সার্ভিক কমিশনের (SSC) নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) বাড়িতে টাকার পাহাড়ের খোঁজ মিলেছে। আপাতত দু'জনেই গ্রেফতার হয়েছেন। এখন প্রশ্ন এই দুর্নীতির শিকড় ঠিক কতটা গভীরে? কীভাবে হয়েছে এই গোটা দুর্নীতি? অঙ্কটা ঠিক কত এবং দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসতেই কীভাবে তা ধাপাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর হেতে এবং হিমশৈলের চূড়ার খোঁজে Zee ২৪ ঘণ্টা। অন্তর্তদন্তে উঠে এল চোখ কপালে তোলার মতো সব তথ্য।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) দ্বারা নবম, দশম, একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডিতেও নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। মূলত ওয়েটিং লিস্ট নিয়েই অভিযোগ ঘণীভূত হয়েছে। চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, ওয়েটিং লিস্টে আগে নাম থাকা ব্যক্তি চাকরি পাননি। বরং পিছনের দিক থেকে অনেকেই চাকরি পেয়েছেন। এমনকী বাইরে থেকেও নাকি চাকরি হয়েছে। এ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একাধিক মামলা দায়ের হয়। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে চাকরিপ্রার্থীরা তথ্য-প্রমাণও জমা দেন। ১১ হাজার থেকে ১২ হাজার পদে বেআইনি ভাবে নিয়োগের অভিযোগ ওঠে। তদন্তে নামে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
অভিযোগ ফাঁস হতেই নড়েচড়ে বসে একাংশ। সূত্রের খবর, বঞ্চিতদের ক্ষোভের আগুন প্রশমিত করতে জরুরী ভিত্তিতে অতিরিক্ত পদ গঠন করা হয়। যে পদগুলোর নাম দেওয়া হয় 'ডাইং ক্যাডার পোস্ট'।
কী এই 'ডাইং ক্যাডার পোস্ট'?
স্কুল সার্ভিক কমিশন সূত্রে খবর, কেবলমাত্র বঞ্চিতদের নিয়োগের জন্যই এই বিশেষ পদটি তৈরি হবে। ওই চাকরিপ্রার্থীরা অবসরের সঙ্গে সঙ্গে 'ডাইং ক্যাডার পোস্ট' বিলুপ্ত হয়ে যাবে। অতিরিক্ত ওই পদে আর কোনওদিন নিয়োগ করা হবে না। মোট ৫২৬১টি 'ডাইং ক্যাডার পোস্ট' তৈরি করা হয়।
নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে ১৯৩২ অতিরিক্ত পদ
একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে ২৮৭ অতিরিক্ত পদ
গ্রুপ সির নিয়োগে ১১০২ অতিরিক্ত পদ
গ্রুপ ডির নিয়োগে ১৯৮০ অতিরিক্ত পদ
Zee ২৪ ঘণ্টার অন্তর্তদন্তে উঠে এসেছে, চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রায় প্রতি জেলা থেকে টাকা তোলা হয়। প্রচুর অযোগ্য ব্যক্তি চাকরি পেয়েছেন। প্রার্থীপিছু ১০ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঘুষ নেওয়া হয়েছে। টাকা দিয়েও অনেকে চাকরি পাননি।
কেবল মাত্র পার্থ-অর্পিতা নাকি, এই নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে আরও বড় নাম জড়িয়ে রয়েছে? সেই উত্তরেরই খোঁজ করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থারা।