সুরঞ্জন দাসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে হাসপাতালে এলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়
জানা গিয়েছে, এদিন হাসপাতালে গিয়ে সুরঞ্জন দাসের শরীরের খবরাখবর নেন। তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে কাজে ফেরার জন্য বলেন শিক্ষামন্ত্রী। কথা বলেন চিকিৎসকদের সঙ্গেও। উপাচার্যকে বিশ্রামের পরামর্শ দিয়েছেন পার্থ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে দেখতে হাসপাতালে গেলেন শিক্ষামন্ত্রী। শনিবার দুপুর ৩টে নাগাদ ঢাকুরিয়া বেসরকারি হাসপাতালে পৌঁছন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বেশ খানিক্ষণ কথা বলেন সুরঞ্জন দাসের সঙ্গে। ফুলের তোড়াও দেন। জানা গিয়েছে, এদিন হাসপাতালে গিয়ে সুরঞ্জন দাসের শরীরের খবরাখবর নেন তিনি। তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে কাজে ফেরার জন্য বলেন শিক্ষামন্ত্রী। কথা বলেন চিকিৎসকদের সঙ্গেও। উপাচার্যকে বিশ্রামের পরামর্শ দিয়েছেন পার্থ।
এদিন সকালে উপাচার্য এবং সহ-উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও। প্রায় ১৫ মিনিট ধরে কথা বলেন দুজনের সঙ্গেই, সমস্ত রকম সমস্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। যদিও রাজ্যপাল ভিতরে থাকাকালীন কাউকে কেবিনে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
বৃহস্পতিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি খারাপ হতেই ভিড় এবং ধস্তাধস্তিতে অসুস্থ হয়ে পড়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস এবং সহ-উপাচার্য প্রদীপকুমার ঘোষ। তড়িঘড়ি তাঁদের ঢাকুরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলছে তাঁদের। সূত্রের খবর, আপাতত দুজনেই স্থিতিশীল।
আরও পড়ুন: হেনস্থার মধ্যেই যাদবপুরে উপাচার্যের সঙ্গে তুমুল তর্কাতর্কি বাবুলের, শেষে যোগ দিলেন অনুষ্ঠানে
বহস্পতিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের হাতে নিগৃহীত হওয়ার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকেই কাঠগড়ায় তোলেন বাবুল সুপ্রিয়। তাঁকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যেতে চাইলে উপাচার্যের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়ান বাবুল। সুরঞ্জন দাসকে বাবুল বলেন, "আপনি এতক্ষণ কোথায় ছিলেন? আমি যখন এলাম, তখন আপনি আসেননি কেন?" কথা কাটাকাটির সময় উত্তেজিত বাবুলের সামনে হাতজোড় করে অনুরোধ করতেও দেখা যায় উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে।