Partha Chatterjee: `মাংস চাই ৬ পিস, লাগবে মোবাইলও`, জেলে বসে একের পর এক `হুকুম` পার্থর!
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাক্তন মন্ত্রীকে নিয়ে জেরবার জেলকর্মীরা। কেবল খাবারের আবাদার নয়, পার্থর স্নানের লম্বা সময় নিয়ে বিরক্ত তারা।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আপাতত শহরের প্রসিডেন্সি জেলে ঠাঁই হয়েছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। কিন্তু জেল হেফাজতে নাকি হরেক রকম দাবি জানাচ্ছেন পার্থ। সূত্রের খবর, খাবার থালায় মাছ-মাংস থেকে শুরু করে মোবাইল ফোনের আবদারও রয়েছে সেই তালিকায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাক্তন মন্ত্রীকে নিয়ে জেরবার জেলকর্মীরা। কেবল খাবারের আবদার নয়, পার্থর স্নানের লম্বা সময় নিয়ে বিরক্ত তারা।
আরও পড়ুন, তৃণমূলকে জেতানোর দায়িত্ব এখন পুলিসের কাঁধে! কনস্টেবলের গুলিবিদ্ধ হওয়া নিয়ে মন্তব্য দিলীপের
নিরাপত্তাজনিত কারণে পার্থর সেল নম্বর ২ সামনে বড় প্লাস্টিকের ড্রামে জল রাখা হয়। এত দিন তিনি মগ দিয়ে ড্রাম থেকে জল নিয়ে স্নান করতেন। এখন তিনি দাবি করেন যে স্নানের সময় তার এমন একজনকে প্রয়োজন যে ড্রাম থেকে জল নিয়ে তার উপর ঢেলে দেবেন। জেল কর্তৃপক্ষ বলছে, এটা সম্ভব নয়। কারণ এ ধরনের কোনও আইন নেই। পার্থ অসুস্থ নন। তিনি শারীরিকভাবে সক্ষম। সেক্ষেত্রে এ ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু পার্থবাবু নাছোড়! খাওয়া দাওয়ার বিষয়ে সমস্ত আসামিরা সপ্তাহে তিনদিন দুপুরে আমিষ খাবার পান। সেক্ষেত্রে মাছ থাকলে দু-পিস এবং মাংস হলে মাথাপিছু চারপিস। কিন্তু পার্থর দাবি, তাঁকে চার পিস মাছ ও ছয় পিস মাংস দিতে হবে। কারণ তাকে নাকি অন্যান্য বন্দীদের তুলনায় বেশি টাকা দিতে হয়।
এসএসসি বা স্কুল সার্ভিস কমিশনের দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ জেলের কর্মীদের স্নান থেকে থেকে খাবার, সমস্ত বিষয়ে নাভিশ্বাস উঠিয়ে দিয়েছেন। জেল কর্তৃপক্ষ এবং কারারক্ষীরা তার 'অনুচিত' কার্যক্রমে অসন্তুষ্ট। কারণ, তার সব দাবি নাকচ করে দেওয়ার পরও তিনি একই আবেদন করে যাচ্ছেন। শুধু স্নান খাওয়া-দাওয়া নয়, মোবাইলের বায়নাও করেছেন পার্থ।
প্রত্যেক বন্দী জেল থেকে দশ মিনিট যে কোনও তিনটি নম্বর ফোন করতে পারে। পার্থ দুটি নম্বর জেল কর্তৃপক্ষকে দেন। একজন তাঁর আইনজীবী, অন্যজন আত্মীয়। পার্থ দাবি করেছেন যে ফোনে থাকাকালীন তার কাছে কোনও পুলিস কর্মীকে রাখা যাবে না এবং সবসময় তার সেলের সামনে পুলিস রাখা যাবে না। বিচারাধীন বন্দীর 'আদেশ' হল, অনুমতি ছাড়া পাহাড়ায় থাকা পুলিস যেন সেলের সামনে না আসে। জেল কর্মীদের মতে, এসব কিছুই সম্ভব নয়। পার্থর নির্দেশেই বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন, Jorabagan: শহরের এক শৌচাগারে পড়ে রয়েছে ভ্রূণ! তদন্তে নামল পুলিস