Jorabagan: শহরের এক শৌচাগারে পড়ে রয়েছে ভ্রূণ! তদন্তে নামল পুলিস
শৌচাগারে নজর দিতেই চক্ষু চড়কগাছ তাঁদের। ভাল করে বিষয়টি দেখতেই তাঁদের নজরে আসে যে শৌচাগারের মধ্যে পড়ে থাকা রক্তাক্ত কুন্ডলীটি আসলে একটি মানবভ্রূণ।
রণয় তিওয়ারি: রোজকার মতো সপ্তাহের প্রথম দিনেও শৌচাগার সাফাই করতে এসেছিলেন পুরকর্মী। শহরে তখন শীতের আমেজ। কাকভোর কাটিয়ে হালকা রোদের আলোয় ঘুম ভাঙছে তিলোত্তমার। রাস্তায় গুটিকয়েট লোক। দোকানের সব উনুনের ধোঁয়ায় আবছা রয়েছে চারপাশ। অভ্যাসবশত বাথরুমের দরজা খুলেই অজ্ঞান হওয়ার অবস্থা। রক্তাক্ত কি যেন কুন্ডলী পাকিয়ে পড়ে রয়েছে। সঙ্গে একটি বিশ্রী গন্ধ!
আরও পড়ুন, Sonagachi Theft: সোনাগাছিতে নগদ টাকা ও গয়না লুট! পুলিসের জালে ৪ যৌনকর্মী
প্রাথমিক ধাক্কা সামলে উঠে আর দেরি করেননি ওই সাফাই কর্মী। চিৎকার করে ডাকতে শুরু করেছেন সকলকে। 'কে কোথায় আছো, তাড়াতাড়ি আসো', এই আওয়াজেই গতকাল ঘুম ভেঙেছে জোড়াবাগান থানা এলাকার শশী সুর লেনের বাসিন্দাদের। কর্মীদের এমন ত্রাহি চিৎকারের গুরুত্ব বুঝে তড়িঘড়ি ছুটে এসেছেন সকলেই। শৌচাগারে নজর দিতেই চক্ষু চড়কগাছ তাঁদের। ভাল করে বিষয়টি দেখতেই তাঁদের নজরে আসে যে শৌচাগারের মধ্যে পড়ে থাকা রক্তাক্ত কুন্ডলীটি আসলে একটি মানবভ্রূণ।
শহরের বুকে এমন ঘটনা বিরল না হলেও আকস্মিক তো বটেই। ফলে খবরটি চাউর হতেই ভিড় জমান আরও অনেকে। সোমবার সকালে এই হাড়হিম করা ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় আতঙ্কও রয়েছে। যদিও এই দৃশ্য দেখেই খবর দেওয়া হয় স্থানীয় থানায়। এরপর পুলিস এসে ভ্রূণটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। কিন্তু প্রশ্নের উত্তর অধরা। এলাকাবাসীর প্রত্যেকের মুখে একই কথা, কোথা থেকে এলো এই ভ্রূণ? গতকাল রাত পর্যন্ত এর উত্তর অবশ্য পুলিস কর্মীরাও খুঁজে পাননি।
আরও পড়ুন, Metiaburuz: মেটিয়াবুরুজে প্রতিবেশীকে ধারালো অস্ত্রের কোপ! গ্রেফতার অভিযুক্ত
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সকাল ৮টা নাগাদ এক পুরো কর্মী শৌচাগার পরিষ্কার করতে আসেন। তাঁর নজরে আসে, শৌচাগারের ভেতর একটি ভ্রূণ পড়ে রয়েছে। স্থানীয় সূত্রের খবর, ভ্রূণটি পুত্র সন্তানের। ওই পুরকর্মীর চিৎকারেই বিষয়টি জানাজানি হয়। এক পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, ওই ভ্রূণটির বয়েস মাত্র ৩ মাস। ভ্রূণটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কীভাবে শৌচাগারের মধ্যে ভ্রূণটি এলো, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলেও জানান ওই পুলিস কর্তা। তবে অতীতে দেখা গিয়েছে, কন্যাসন্তানের ভ্রূণ নষ্ট করার ভুরি ভুরি অভিযোগ উঠেছে। তাহলে কি এবার পুত্র সন্তানের ভ্রূণও হত্যা করা হচ্ছে? সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।