জয়েন্টের মেধা তালিকায় বাংলা বোর্ডের মাত্র একজন? প্রশ্ন করতেই সপাটে ব্যাট চালালেন শিক্ষামন্ত্রী
আগামী সপ্তাহ থেকেই শুরু হচ্ছে রাজ্য জয়েন্টের কাউন্সেলিং। এবছর থেকে রেজিস্ট্রেশনও হবে প্রত্যেক রাউন্ড কাউন্সেলিং-এর শেষে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের জয়েন্ট এন্ট্রাসের ফলাফল প্রকাশিত হল। বোর্ডের তরফে ১০ জনের মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে প্রথম দশে ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ডের মাত্র একজন ছাত্র আছে। অষ্টম স্থানে রয়েছে বেহালা আর্য বিদ্যামন্দিরের ছাত্র অরিত্র মিত্র। উল্লেখ্য, এবছর মোট ৭৭ হাজার ছাত্রছাত্রী Rank কার্ড পেয়েছে। যদিও জয়েন্ট এন্ট্রাস বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে যে মেধাতালিকায় ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ডের মাত্র একজন ছাত্র থাকলেও, মোট Rank কার্ডের ৫০ শতাংশের বেশি ছাত্র-ই বাংলা বোর্ডের।
তবে মেধাতালিকায় মাত্র একজন! প্রশ্ন উঠছে। তবে কি বাংলার মেধা কমে যাচ্ছে? এই প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ” আমি এখনও পর্যন্ত বিশ্লেষণ করিনি। সবকিছুর এত সরলীকরণ ঠিক নয়। আমরা চেয়েছি এই রাজ্যের মেধা এই রাজ্যতেই থাক। চূড়ান্ত পর্যবেক্ষণের পর আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দেব।“ প্রসঙ্গত, রাজ্যের মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা যাতে ভিন রাজ্যে চলে না যায় তার জন্য এবার ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ভর্তির ক্ষেত্রে বেশকিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে জয়েন্ট এন্ট্রাস বোর্ড। বেশ কয়েকবছর ধরে বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করে আসছিল যে বাংলার অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী ভিন রাজ্যে চলে যায়। কারণ সব রাজ্যে কাউন্সেলিং হয়ে যাওয়ার পর এরাজ্যে কাউন্সেলিং শুরু হয়।
বাংলায় দেরিতে কাউন্সেলিং হওয়ার জন্য ভিন রাজ্যে সুযোগ পেয়ে ছাত্রছাত্রীরা চলে যায় । ফলে কলেজে প্রচুর আসন ফাঁকা থাকে। তাই জয়েন্ট এন্ট্রাস বোর্ড এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশের সব রাজ্যের আগে এবার বাংলায় কাউন্সেলিং করে। তাই আগামী সপ্তাহ থেকে এই রাজ্যে জয়েন্টের কাউন্সেলিং শুরু হয়ে যাচ্ছে। এবার রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে নিয়মও অনেকটা শিথিল করা হয়েছে। এই বছর থেকে প্রত্যেক রাউন্ডের কাউন্সেলিং-এর শেষে রেজিস্ট্রেশন হবে। অর্থাত্ ছাত্রছাত্রীরা কাউন্সেলিং-এর জন্য দ্বিতীয় রাউন্ডকেও বেছে নিতে পারবে। আগে ছাত্রদের প্রথম রাউন্ডেই রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক ছিল।
পাশপাশি, লকডাউন পরিস্থিতিতে ছাত্রছাত্রীরা বাড়িতে বসেই যাতে কলেজ বাছাই করতে পারে তার জন্য জয়েন্ট এন্ট্রাস বোর্ড কলেজগুলোকে তাঁদের পরিকাঠামো এবং কী কী সুবিধা তাঁরা দিতে পারবে সেগুলোর ভিডিয়ো করে বোর্ডকে দিতে বলেছে। সেই ভিডিয়োটি বোর্ড তাদের ওয়েবসাইটে আপলোড করে দেবে। সেখান থেকেই ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের পছন্দের কলেজ বেছে নিতে পারবে। জয়েন্ট এন্ট্রাস বোর্ডের এতকিছু পরিবর্তনের পিছনে একটাই কারণ বাংলার ছাত্ররা যেন বাংলাতেই থাকে।
আরও পড়ুন, আসানসোলে ১০টি কয়লাখনি বন্ধের নোটিস, বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে ১৮ অগস্ট দেশব্যাপী ধর্মঘট