জিয়াগঞ্জ নিয়ে রাজ্যপালের মন্তব্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও অভিসন্ধিমূলক, পাল্টা জবাব পার্থর
`উত্তরপ্রদেশে যে অরাজকতা চলছে, তা থেকে নজর ঘোরাতেই রাজ্যপালের এই মন্তব্য। মুর্শিদাবাদের ঘটনাটি একটি পারিবারিক ঘটনা। তা নিয়ে এত অপপ্রচার কেন?`
নিজস্ব প্রতিবেদন : "রাজনৈতিক মন্তব্য করে সাংবিধানিক সীমারেখা লঙ্খন করছেন রাজ্যপাল। আইনকানুন সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও অভিসন্ধিমূলক। এরাজ্যে শান্তি-সম্প্রীতির মধ্যে দিয়ে শারদীয়া উৎসব পালিত হল, তিনি সেটা দেখতেই পেলেন না। উত্তরপ্রদেশে যে অরাজকতা চলছে, তা থেকে নজর ঘোরাতেই রাজ্যপালের এই মন্তব্য। মুর্শিদাবাদের ঘটনাটি একটি পারিবারিক ঘটনা। তা নিয়ে এত অপপ্রচার কেন? বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে ধামাচাপা দিতেই রাজ্যপালকে আসরে নামানো হয়েছে।" মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জে সন্তান সহ শিক্ষক দম্পতি খুনের ঘটনায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কড়া প্রতিক্রিয়ার পরই পাল্টা জবাব দিলেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জে নৃশংস খুনের ঘটনায় প্রশাসনের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তাঁর কথায়, ''ঘটনার পর প্রশাসনের তরফে একটা বিবৃতি দেওয়া হল না। নীরবতাই বলে দিচ্ছে তদন্তের গতিপ্রকৃতি।'' এদিন রাজ্যপাল উষ্মাপ্রকাশ করে বলেন,''আমার বুক ফেটে যাচ্ছে। মুর্শিদাবাদে একটা ভয়ঙ্কর খুন হয়েছে। মানবিকতাকে লজ্জায় ফেলে দিয়েছে। শিক্ষক, তাঁর স্ত্রী ও ৮ বছরের ছেলেকে খুন করা হয়েছে। কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি রাজ্য প্রশাসন। এটা খুব গুরুতর ব্যাপার। আমি প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। আবেদন করেছি, স্বচ্ছ তদন্ত করুন।'' তিনি আরও বলেন,''ভাবুন আমাদের কারও সঙ্গে ঘটনাটা ঘটলে! মানবিকতা আজ কোথায়? হিংস্র, ভয়ডরহীন হয়ে উঠেছে দুষ্কৃতীরা। স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত করা উচিত। নীরবতাই বলে দিচ্ছে তদন্তের গতিপ্রকৃতি। এটা ঠিক নয়। আমরা মানবিকতা হারাতে পারি না।''
আরও পড়ুন, জিয়াগঞ্জে দম্পতি খুনের নেপথ্যে 'তৃতীয় ব্যক্তির' উপস্থিতি? মোবাইলে পাওয়া ছবিতে লুকিয়ে 'রহস্য'
বিজয়া দশমীতে জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কানাইগঞ্জ লেবুবাগানে একই পরিবারের ৩ জনকে নৃশংসভাবে হত্যা করে দুষ্কৃতীরা। দিনের আলোয় বাড়িতে ঢুকে খুন করা হয় স্কুল শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ পাল, তাঁর স্ত্রী বিউটি মণ্ডল পাল ও তাঁর ৬ বছরের ছেলে বন্ধুঅঙ্গন পালকে। বিউটি মণ্ডল অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। বন্ধুপ্রকাশ পাল তাদের সক্রিয় কর্মী বলে দাবি করেছে আরএসএস। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে প্রচারও শুরু করে দিয়েছে গেরুয়া শিবিরের লোকজন। ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার হয়নি দোষীরা। খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যদিও নিহতের আত্মীয়ের দাবি, 'দাদার সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক যোগ নেই। আরএসএস মিথ্যা প্রচার করছে।'