ওয়েব ডেস্ক :  সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর রুখতে সংশোধনী বিল। সেই বিল পেশ ঘিরেই তুলকালাম বিধানসভায়। স্পিকারের ন্যায়দণ্ড কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন কংগ্রেসের মনোজ চক্রবর্তী। এর মাঝেই সাসপেন্ড বিরোধী দলনেতা। গোলমালের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েন আব্দুল মান্নান। ধু্ন্ধুমার বেঁধে যায় বিধানসভায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন বিরোধীরা। সভাকক্ষের বাইরে মিছিলও করেন তাঁরা। আগামীকাল ও পরশু বাজেট অধিবেশন বয়কটের সিদ্ধান্ত বিরোধীদের। কংগ্রেস বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী তোপ দেগেছেন, "সরকার চাইলে ফাঁসি দিতে পারে। তবে ভাঙচুর আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলবে।" কংগ্রেস বিধায়ক প্রতিমা রজকের প্রশ্ন, " মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর আমলে বিধানসভার ভিতরে মহিলা বিধায়ককে হেনস্থা করা হচ্ছে। তাহলে রাজ্যে সাধারণ মহিলাদের নিরাপত্তা কোথায়?"


সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তীর অভিযোগ, "গায়ের জোরে চলতে চায় সরকার। তাই কালা কানুন আনা হচ্ছে। বিরোধীদের ওপর এই আক্রমণ নজিরবিহীন।" সিপিএম-এর অশোক ভট্টাচার্য অভিযোগ করেন, এতদিনের রাজনৈতিক জীবনে স্পিকারের এমন আচরণ তিনি আগে কখনও দেখেননি। বিধানসভায় বিধায়কদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। আর ভাঙচুর আইন এনে মানুষের গণতন্ত্রে হস্তক্ষেপ করছে সরকার।


অন্যদিকে, পাল্টা অভিযোগ দেগেছে সরকারপক্ষও। পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, "সস্তায় বাজিমাতের চেষ্টা করছে বিরোধীরা।" বিরোধীদের আচরণের তীব্র নিন্দা করে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেছেন তিনি। নতুন ভাঙচুর আইনের আওতায় 'এই ঘটনা' পড়বে বলে হুঁশিয়ারি দেগেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও।


আরও পড়ুন, বিধানসভায় হুলুস্থুলু, সাসপেন্ড করা হল আব্দুল মান্নানকে