চিকিত্সকের চরম গাফিলতিতে প্রসূতি মৃত্যু লেডি ডাফরিন হাসপাতালে
প্রসূতিতে বাঁচাতে দরকার ছিল রক্তের। কিন্ত, কোন গ্রুপের রক্ত লাগবে, দুঘণ্টাতেও প্রসূতির পরিবারকে জানাতে পারল না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। চিকিত্সকের চরম গাফিলতিতে প্রাণ গেল প্রসূতির। মর্মান্তিক এই ঘটনা লেডি ডাফরিন হাসপাতালের। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
কলকাতা : প্রসূতিতে বাঁচাতে দরকার ছিল রক্তের। কিন্ত, কোন গ্রুপের রক্ত লাগবে, দুঘণ্টাতেও প্রসূতির পরিবারকে জানাতে পারল না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। চিকিত্সকের চরম গাফিলতিতে প্রাণ গেল প্রসূতির। মর্মান্তিক এই ঘটনা লেডি ডাফরিন হাসপাতালের। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সরস্বতী পুজোর সকাল। লেডি ডাফরিন হাসপাতালে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন এন্টালির রুকসানা বেগম। কিছুক্ষণের মধ্যে অস্বাভাবিক রক্তপাত শুরু হয় তাঁর। তড়িঘড়ি স্বামীকে রক্ত আনতে বলেন কর্তব্যরত চিকিত্সক। মেডিক্যাল কলেজের ব্লাডব্যাঙ্কে ছোটেন মহঃ শামিম। কিন্তু, অবাক কাণ্ড কোন গ্রুপের রক্ত আনতে হবে স্লিপে সেটাই লেখা নেই।
ফের হাসপাতালে দৌড়ন মহঃ শামিম। এবারও একই অভিজ্ঞতা। ঘণ্টা দুয়েক ধরে হাসপাতাল ও ব্লাড ব্যাঙ্কে দৌড়াদৌড়ি করেন মহঃ শামিম। ততক্ষণে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াইয়ে হার মেনেছেন রুকসানা।
বেগতিক বুঝে শামিমের হাত থেকে রিকুইজিশন স্লিপ কেড়ে নেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনা জানাজানি হতেই হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখান এলাকার বাসিন্দারা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মুচিপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।