ওয়েব ডেস্ক : অনুপ্রবেশ থেকে শুরু করে জেহাদি কার্যকলাপ। অস্ত্র পাচার থেকে জাল নোটের কারবার। ইস্যু একাধিক। সব মিলিয়ে রাজ্যের তিন সীমান্তবর্তী জেলার পরিস্থিতি নিয়ে, উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রীর দফতর। পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তলব NIA-র কাছে। কখনও জাল নোটের কারবার, কখনও অস্ত্রের রমরমা। কালা-ব্যবসা। রমরমিয়ে ব্ল্যাক-মার্কেট। এমনই কারণে বহুবার হেডলাইন হয়েছে এরাজ্যেরই তিন জেলা, মালদা-মুর্শিদাবাদ-নদিয়া।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ইতিমধ্যেই এই ৩ জেলা নিয়ে স্ট্যাটাস রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। গোয়েন্দা রিপোর্টেই উঠে এসেছে, এই তিন জেলায় গত দু-তিন বছরে অনুপ্রবেশের হার খুব বেশি। সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে অনুপ্রবেশকারীরাই মূলত ঘাঁটি গেড়ে বসছে। গ্রামগুলির আদি বাসিন্দারা ক্রমেই সংখ্যালঘু হয়ে প়ডছেন। দাপট বাড়ছে বাইরে থেকে এসে জুড়ে বসা মানুষজনেরই। এরপর এই জায়গাগুলিই জেহাদিরা নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছে এবং ছড়াচ্ছে সন্ত্রাস।


নজরে জাল নোট


মালদা, মুর্শিদাবাদে জাল নোটের রমরমা নতুন নয়। ভারতে যত জাল নোট ঢুকছে, তার ৮০ শতাংশই মূলত ঢোকে মালদা দিয়ে। সাম্প্রতিক সময়ে NIA অভিযান চালিয়ে, জাল নোট চক্রের একাধিক পাণ্ডাকে গ্রেফতার করেছে। তারওপর নোট-বাতিলের জেরে আপাতত ভাটা পড়েছে জাল নোট ব্যবসায়। পুরনো পাচার রুট যাতে আর চালু না হয়, সেই লক্ষ্যে ব্যবস্থা নিতে তত্‍পর কেন্দ্র। জাল নোটের পাশাপাশি, মালদায় মাদক ব্যবসা নিয়ে উদ্বেগ কম নেই।


নারকোটিক কন্ট্রোল ব্যুরোর সাম্প্রতিক অভিযানে সম্প্রতি বড় সাফল্য এসেছে। অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে মালদহে জাল নোট, মাদক চক্রের রমরমা। কিন্তু বেড়েছে অস্ত্রের কারবার। মুঙ্গের স্টাইলে এখন অস্ত্র তৈরি হচ্ছে এরাজ্যেই। এরপর শুধু রাজ্যের মধ্যেই নয়, দেশ-বিদেশেও পাচার হচ্ছে অস্ত্র।  রীতিমতো আন্তর্জাতিক চক্র গড়ে উঠে এসেছে।


বাংলাদেশ পুলিসের দাবি


হোলে আর্টিসান ক্যাফেতে জঙ্গি হানাতেও, এরাজ্যের মালদা সীমান্ত দিয়েই অস্ত্র পৌঁছেছিল জঙ্গিদের হাতে। কেন্দ্রের আরও একটি উদ্বেগের জায়গা, সীমান্ত দিয়ে গরু পাচার। মূলত উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া দিয়ে পাচার হত সবচেয়ে বেশি গরু
গত কয়েক মাসে অবশ্য গরু পাচারের রুট ঘুরে গিয়েছে মুর্শিদাবাদের দিকে। সেখানে এখন পাচার বেড়েছে জলপথে।


এই সমস্ত কালো ব্যবসার টাকাই ঢুকছে জেহাদি কার্যকলাপে। যা কেন্দ্রের মাথাব্যথার কারণ। একারণেই তিন জেলার পরিস্থিতি সম্পর্কে, NIA-র কাছে এবার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তলব করেছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর।