অর্কদীপ্ত মুখোপাধ্যায় ও অর্ণবাংশু নিয়োগী: শনিবার রাতে চিংড়িঘাটার বাসন্তী কলোনিতে খুনের ঘটনায় পুলিসের জালে এলাকারই এক যুবক। এনিয়ে তীব্র উত্তেজনা রয়েছে এলাকায়। খবর পেয়ে ছুটে আসেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। নিহত যুবকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত বিট্টু পলাতক ছিল। আজ এলাকায় তাকে একটি ট্যাক্সি থেকে নামিয়ে গণধোলাই দেয় স্থানীয়মানুষজন। সাউন্ডবক্স চালানো কেন্দ্র করে বচসা। তার জেরেই অভিযুক্ত ওই যুবকের গলায় কাঁচি চালিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। আহত অবস্থায় ওই যুবককে বাইপাসের ধারে এক হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত হলে ঘোষণা করা হয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-যুবকের গলায় কাঁচির কোপ! খুনের অভিযোগে উত্তাল চিংড়িঘাটা...


অভিযুক্তের গ্রেফতারের দাবিতে আজ পথে নেমে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় মানুষজন। ঘটনাস্থলে চলে আসে পুলিস-সহ পুলিসের উচ্চপদস্থ কর্তারা। অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেফতার করা হবে বলে বিক্ষোভকারীদের আশ্বাস দেয় পুলিস। যে ট্যাক্সিতে বিট্টু লুকিয়ে ছিল সেই ট্যাক্সিতে ভাঙচুর চালায় স্থানীয়রা। পাশাপাশি বেধড়ক মারধর করা হয় বিট্টুকে। পুলিস তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে। সবমিলিয়ে গোটা এলাকায় মোতায়েন বিশাল পুলিস বাহিনী। স্থানীয়দের দাবি, একাধিক বার বিভিন্ন অপরাধের জন্য গ্রেফতার হয়েছে বিট্টু। এলাকাতে টাকা তোলার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।


এদিকে, ঘটনার খবর পেয়েই বাসন্তী কলোনিতে যান দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। স্থানীয় লোকজন ও নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে কথা বলেন তিনি। স্থানীয়ের দাবি, বিনা কারণে নিরাপরাধ একটা ছেলের জীবন চলে গেল। বিট্টুর ফাঁসি চাই। অনেক চেষ্টা করে সুজিত বিক্ষোভকারীদের শান্ত করেন। মন্ত্রীকে কাছে কান্নায় ভেঙে পড়েন নিহতের পরিবারের লোকজন।


সুজিত বসু সংবাদ মাধ্যমে বলেন, এমন নৃশংস ঘটনা আমাদের বাসন্তী কলোনিতে এই প্রথম ঘটল। এতগুলো পুজো হয়েছে, ইদ হয়েছে। কিছু হয়নি। শেষবেলাতে যা হল তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। মাইক বাজানোকে কেন্দ্র করেই এমন ঘটনা। কিন্তু যে নৃশংস ভাবে ছেলেটিকে খুন করা হয়েছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয় বিষয়। সকালেই সিপির সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তাঁকে বলেছি যে কোনও প্রকারে ছেলেটাকে ধরতে হবে। ক্রিমিন্যালকে ক্রিমিন্যাল হিসেবে ট্রিট করতে হবে। এতবড় বাসন্তী কলোনী, এখানে এত মানুষ বাস করে। শান্তিপূর্ণ এলাকা। একটা পরিবারের একমাত্র ছেলে। তার মায়ের কোল খালি হয়ে গেল। পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রয়েছে। তাদের সঙ্গে আমরা থাকব। আসামী ইতিমধ্যেই ধরা পড়েছে। তার যাতে চরম শাস্তি হয় সেটা পুলিসকে আমরা বলব। সকালেই আমি এলাকায় ফোন করে বলেছি, আপনারা শান্ত থাকুন। আমি আসব। অভিযুক্তের পরিবারটিকেও নিয়ে এলাকায় আপত্তি রয়েছে। এনিয়ে পুলিসকে যা বলার বলব। আমি শুনেছি, অভিযুক্ত ড্রাগ অ্যাডিকটেড। জেল থেকেও ছাড়া পেয়ছিল কিছুদিন আগে। একটা লোকের জন্যা গোটা পাড়ার সমস্যা হতে দেওয়া যায় না।         


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)