Mainak Banerjee: বিমানবন্দরে `তাণ্ডবে` জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা, কী বলছেন মৈনাক-ঐশ্বর্যা?
টেলিভিশনের পরিচিত মুখ অভিনেতা মৈনাক ব্যানার্জি। তাঁর স্ত্রী ঐশ্বর্যা চৌধুরী পেশায় কার-ডিডাইনার। কর্মসূত্রে মুম্বইয়ে থাকেন তিনি।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিমানবন্দরে কর্তব্যরত পুলিসকর্মীদের সঙ্গে 'অভব্য আচরণ'। সঙ্গে ফেসবুক লাইভে দুর্ব্যবহার! স্বামী-স্ত্রীর দু'জনের বিরুদ্ধেই এবার মামলা দায়ের করা হল জামিন অযোগ্য ধারায়। 'যখন ওনারা অন্যদের গাড়ি আটকাচ্ছিলেন না, তখন আমি প্রতিবাদ করি। সেটা যদি ওনারা বলেন প্রতিবাদটা হচ্ছে কাজের বাধা। তাহলে সেটা কীভাবে যুক্তিযুক্ত'? বললেন অভিনেতা মৈনাক ব্যানার্জির স্ত্রী ঐশ্বর্যা। অনড় অভিনেতাও।
ঘটনাটি ঠিক কী? টেলিভিশনের পরিচিত মুখ অভিনেতা মৈনাক ব্যানার্জি। তাঁর স্ত্রী ঐশ্বর্যা চৌধুরী পেশায় কার-ডিডাইনার। কর্মসূত্রে মুম্বইয়ে থাকেন তিনি। গতকাল, শুক্রবার রাতে স্ত্রীকে আনতেই কলকাতা বিমানবন্দরে যান মৈনাক। অভিযোগ, বিমানবন্দরে হেনস্থার শিকার হন তিনি। বস্তুত, বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে ফেসবুক লাইভও করেন অভিনেতা ও তাঁর স্ত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটনাটি জানান তাঁরা। তখনই শুরু হয় তুমুল গন্ডগোল, বাক-বিতণ্ডা!
এই ঘটনায় মৈনাক ব্যানার্জি ও তাঁর স্ত্রী ঐশ্বর্যার বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় FIR করে বিধাননগর ট্রাফিক পুলিস। সেই FIR-র বিরুদ্ধে ভিত্তিতেই মামলা দায়ের করা হল। জি ২৪ ঘণ্টাকে ঐশ্বর্যা বলেন, 'আমরা শুধু শুধু দাঁড়িয়েছিলাম না। মৈনাক আমায় নিতে এসেছিল, আমরা বেরিয়ে যেতাম। আমাদের বলা হয়নি যে, ওটা হাই সিকিউরিটি জোন। আমরা কিছুই জানতাম না। ওই গেট দিয়ে সব যাত্রীরাই বেরোচ্ছিল। অনেকে দাঁড়িয়েছিল পরিবারের সদস্যদের জন্য, আমিও দাঁড়িয়েছিলাম'।
তারপর? অভিনেতা-পত্মী জানালেন, 'মৈনাক যখল এল, বলা হল এগোন এগোন এগোন। অফিসার কী বলছেন, সেটা বোঝার মতো সময়ও দেওয়া হল না। আমি দেখলাম অফিসার চেঁচাচ্ছেন, আমিই প্রথম বললাম, কেন আপনি চেঁচাচ্ছেন'। তাঁর দাবি, 'পুলিস যদি শুরুতেই বলত, এখানে দাঁড়ানো চলবে না। এটা প্রতিবন্ধীদের জন্য সংরক্ষিত এলাকা। আমরা গাড়িটি নিয়ে এগিয়ে যেতাম'।
আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee: রাতারাতি বদলি অভিষেকের কনভয়ে হামলার ঘটনায় আটক কুড়মি নেতা রাজেশ মাহাত!
পুলিসের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন অভিনেতা মৈনাক ব্যানার্জিও। তিনি বলেন, 'আমি যদি দোষ করতাম, কাঁটা লাগিয়ে দিয়েছেন, তারপর আমাকে থানায় নিয়ে যেতেন। এটাই তো নিয়ম। হঠাৎ করে দেখলাম, কাঁটাটা লাগাল, তারপর ফাঁকা হয়ে গেল। এবং আমাদের গাড়িটা যেখানে দাঁড়িয়েছিলাম, সেখানে তারপর সবগুলি গাড়ি আসছে, লোকজন নামছে। কারও কোনও সমস্যা হচ্ছে না'।
স্রেফ মৌখিক অভিযোগ নয়, পুলিসের বিরুদ্ধে থানায় পাল্টা FIR করেছিলেন মৈনাক-ঐশ্বর্যাও। পুলিস সূত্রে দাবি, সেই FIR-র দণ্ডনীয় কোনও অপরাধের উল্লেখ নেই। সেকারণে FIR খারিজ হয়ে গিয়েছে।