নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যে করোনার প্রথম বলি দমদমের বছর ৫৭-র বৃদ্ধ। সমস্ত বিধিনিষেধ মেনে মৃতদেহ নিয়ে নিমতলা ঘাট শ্মশানে ঢুকতেই একদল স্থানীয়ের রোষের মুখে পড়ে পুলিস। সৎকারে বাধা দেওয়া হয় পুলিসকে। এদিন রাত ১০টা নাগাদ দেহ পৌঁছয় শ্মশানে এরপরই শুরু হয় ধুন্ধুমার। তাঁরা স্পষ্ট জানান নিমতলায় ওই দেহ দাহ করা যাবে না। এরপর শুরু হয় বচসা। সোমবার বেলা ৩.৩৮ নাগাদ এক বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় দমদমের ওই বাসিন্দার। এরপরথেকেই মৃতদেহকে ঘিরে শুরু হয় একের পর এক সমস্যা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: রাজ্যে আরও ২ জনের শরীরে মিলল করোনারভাইরাস, আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৯


মৃত্যুর খবর বাড়িতে পৌঁছতেই হাসপাতালে আসতে অস্বীকার করে পরিবারের এক সদস্যা। তিনিই প্রথমে ভর্তি করেছিলেন ওই প্রৌঢ়কে। বিষয়টি জানানো হয় স্বাস্থ্য ভবনে। এরপর ফের শুরু হয় আরেক দফা সমস্যা। সল্টলেকের কোন শববাহী গাড়িই আসতে রাজি হয় না এদিন। তা নিয়েও চলে দীর্ঘক্ষন টানাপোড়েন।


শেষমেষ বিধান নগর পৌরসভা বিধাননগর পুলিসের সহযোগিতায় তাদের একটি গাড়িতে দেহ নিয়ে যাবার ব্যবস্থা হয়। বিধাননগর পুলিসের পাইলট কার এসে পৌঁছায় ওই বেসরকারি হাসপাতালে। খবর দেওয়া হয় কলকাতা পুলিসেকে। নিয়ম অনুযায়ী হাসপাতালের ঠাণ্ডা ঘর থেকে দেহকে বের করে কেমিক্যাল মাখিয়ে বিশেষ প্যাকেটের মধ্যে মুড়ে তা চাপানো হয় গাড়িতে। ওই দেহের সঙ্গে কলকাতা কর্পোরেশনের লোক বিধাননগর পুলিসের প্রাইভেট গাড়ি ও সংশ্লিষ্ট বেসরকারি হাসপাতালে এক প্রতিনিধি এবং স্বাস্থ্য ভবনের স্বাস্থ্যকর্তা, চিকিৎসক এবং কলকাতা কর্পোরেশনের চিকিৎসকরা রওনা দেন নিমতলা ঘাটের দিকে।


পরের বিপত্তি রাত পৌনে ১০টা নাগাদ নিমতলা ঘাট এর কয়েকজন কর্মী এবং স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি জানান, ওই দেহ তাঁরা নিমতলা ঘাটে দাহ করতে দেবেন না। খবর যায় কলকাতা পুলিসের কাছে। এখনও পর্যন্ত ওই দেহ দাহ করা যায়নি। পুলিসের সঙ্গে বচসা চলছে স্থানীয়দের। উল্লেখ্য, জানা গিয়েছে, মৃতর পরিবারের লোকজনকে নিজেদের কোয়ারেন্টাইনে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কোনও হাসপাতালে নয়। নিজেদের বাড়িতেই গৃহবন্দি হয়ে রয়েছেন তাঁরা।