নান্টু হাজরা: মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি পরেই তৎপর প্রশাসন। রাস্তার উপরে থাকা দোকান, এমনকী ব্যবসার সামগ্রী সরিয়ে দিল বিধাননগর পুলিস। ঘটনাস্থল, সল্টলেক সেক্টর ফাইভ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন:  Ladies Special Bus: চালু হচ্ছে লেডিজ স্পেশাল বাস, কলকাতায় কোন রুটে চলবে জেনে নিন...


শহরের 'অফিসপাড়া' এখন সল্টলেক সেক্টর ফাইভ। কাজের সুবাদে দিনভর আনাগোনা লেগে থাকে বহু মানুষের। কিন্তু রাস্তার দু'পাশে হকারের দাপাদাপি। ফুটপাতে সার দিয়ে অস্থায়ী দোকান! ফলে যেমন সমস্যায় পড়তে হয় পথচারীদের, তেমনি বাড়ছে যানজট। কেন এমন পরিস্থিতি? নবান্নে পুরপ্রধানদের সঙ্গে বৈঠকে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। কবে? আজ, সোমবার।



আরও পড়ুন:  Putiram Shut Down: মিষ্টিপ্রেমীদের জন্য দুঃসংবাদ, বন্ধ হচ্ছে পুঁটিরাম!


মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'সল্টলেকের অবস্থা খুব খারাপ। রাজারহাটের অবস্থা খারাপ। যে যেখানে পারছে টাকা নিয়ে লোক বসিয়ে দিচ্ছে। সল্টলেকে তো সুজিত বোস কমপিটিশন করে লোক বসিয়ে দিচ্ছে। সল্টলেকের কাউন্সিলররা কেন কাজ করে না? এরপর কি আমাকে ঝাঁটা হাতে বের হতে হবে? বাইরের লোক এসে এখানে বসে পড়ছে। বাংলার আইডেনটিটি বদলে যাচ্ছে'। সঙ্গে হুঁশিয়ারি, 'কোনও ব্যক্তিকে পোষার জন্য এখানে আসিনি। মানুষকে দেখার জন্য এখানে এসেছি। কোন পার্টির এমএলএ দেখার দরকার নেই। প্রশাসনকে বলে দিচ্ছি। যারা লোভ করবে তাদের মুখ লিউকোপ্লাস্ট দিয়ে বন্ধ করে দিন। টেন্ডার আর লোকালি হবে না। টাকা তোলার লোক আমি চাইছি না। সেবা করার লোক চাইছি'।



এর আগে, নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠকেও জবরদখল নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সূ্ত্রের খবর, সেই বৈঠকে কলকাতা, সল্টলেক ও হাওড়ায় জবরদখলের জন্য শাসকদলের কাউন্সিলরদের একাংশকেই কাঠগড়ায় তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রেয়াত করেননি পুরসভার এক শ্রেণির অফিসার ও কর্মীদেরও। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, 'বাংলার বাইরে থেকে লোক এসে জমি জবরদখল করে নিচ্ছে। কলকাতার আইডেনটিটি তথা চরিত্রই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে'। এরপর জবরদখল রুখতে হাইপাওয়া কমিটি গঠন করে নবান্ন। 


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)