Mobile Apps Fraud: বিদেশে বসে প্রতারণা? সল্টলেকের বহুতলে উদ্ধার প্রচুর সার্ভার, পাসবই!
অ্য়াপ প্রতারণাকাণ্ডে তদন্ত তৎপর কলকাতা পুলিস। দিনভর তল্লাশি চলল শহরের বিভিন্ন প্রান্তে। আটক করা হল ৪ জনকে।
পিয়ালী মিত্র: অ্য়াপ প্রতারণাকাণ্ডে দিনভর শহরের বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশি। সল্টলেকে একটি বহুতল থেকে প্রচুর পরিমাণে সার্ভার ও ব্য়াঙ্কের পাসবই উদ্ধার করল কলকাতা পুলিস। সঙ্গে হাজার তিনেক এটিএম কার্ড ও ৪৮৩টি ব্য়াঙ্কের কিট। পুলিস সূত্রে খবর, সার্ভারগুলি দেখতে অনেকটা সিমবক্সের মতো। একটি একটি সিমবক্স রয়েছে ২ হাজারেরও বেশি সিমকার্ড। প্রত্যেকটি সিমকার্ডই আবার ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত! নেপথ্য়ে কারা? তদন্তকারীদের অনুমান, বিদেশ থেকে ওই সার্ভারগুলি ব্যবহার করা হত।
ঘটনার সপ্তাহ দুয়েক আগে। ১১ সেপ্টেম্বর গার্ডেনরিচের ব্যবসায়ী নিসার খানের বাড়ি থেকে নগদ ১৭ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে ইডি। সঙ্গে সোনার গয়না ও নথি-পত্র। কোথায় থেকে এল এত টাকা? কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়, একটি মোবাইল অ্যাপ চালু করেছিলেন ব্যবসায়ী নিসার খানের ছেলে আমির। নাম, ই-নাগেটস। শুধু তাই নয়, ই-ওয়ালেটের মাধ্যমে সেই অ্যাপে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগও করা হয়েছিল। কেন? ই-ওয়ালেটে টাকা রাখলে কমিশনের টোপ দেওয়া হয়েছিল। বস্তুত, প্রথমদিকে কমিশনের টাকা দিয়ে দেওয়া হত ই-ওয়ালেটে। এরপর হঠাৎ করেই ওই অ্যাপটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। মুছে ফেলা হয় যাবতীয় তথ্য। এমনকী, ভুয়ো অ্যাকাউন্টে রাতারাতি গায়েব হয়ে যায় কোটি কোটি টাকা!
আরও পড়ুন: সাবধান! পুজোর মরশুমে হোটেল বুকিংয়ে পাতা অভিনব প্রতারণা ফাঁদ
২০২১ সালে ফেডারেল ব্যাঙ্কের তরফে প্রথম অভিযোগ দায়ের করা হয় পার্কস্ট্রিট থানায়। কিন্তু তখনও কোন ব্যবস্থা নেয়নি পুলিস। গার্ডেনরিচে টাকা উদ্ধারের পর অবশেষে উত্তরপ্রদেশ থেকে অভিযুক্ত আমির খানকে গ্রেফতার করেন কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা। ব্যাঙ্কের অভিযোগ, ই-নাগেটস অ্যাপসের মাধ্যমে ৪৭.৯০ লক্ষ টাকা প্রতারণা করা হয়েছে। কীভাবে? তদন্তে জানা যায়, ১৪৭ টা অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে প্রথমে টাকা নেওয়া হয়েছিল। এরপর প্রথমে ইন্টারমিডিয়েটারি ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্ট (Intermediary Bank Account), তারপর ক্রিপ্টো ওয়ালেটে সরিয়ে ফেলা হয় টাকা! বস্তুত, আদালতে অনুমতি নিয়ে ইতিমধ্যেই সাড়ে চোদ্দো কোটির টাকার ত্রিপ্টো কারেন্সি ওয়ালেট ফ্রিজ করেছে কলকাতা পুলিস।
পড়ুন- বাঙালির প্রাণের উৎসবে আমার 'e' উৎসব। Zee ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল শারদসংখ্যা
লালবাজার সূত্রে খবর, বিভিন্ন লোকের নামে অ্যাকাউন্ট খোলা হত। যাঁদের অনেকেরই কেওআইসি নথি জাল! এদিন সুমা নস্কর নামে এক তরুণীকে ডেকে পাঠিয়ে জেরা করা হয়। কেন? তাঁর নামে অ্য়াকাউন্ট খুলে ৩০ কোটি টাকা জমা করা হয়েছিল। আটক করা হয় ৪ জনকে। সঙ্গে তল্লাশিও চলে কলকাতায় ৫ জায়গায়। রাতে সল্টলেক সেক্টর ফাইভে একটি বহুতলে হানা দেন কলকাতা পুলিসের আধিকারিকরা। চুপ করে বসে নেই ইডিও। এদিন ১২ কোটি টাকার বিট কয়েন ওয়ালেট ফ্রিজ করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। বেহালা, নিউটাউন ও বিকে পাল অ্যাভিনিউতে তল্লাশিও চালান তদন্তকারীরা।