নিজস্ব প্রতিবেদন: কলকাতা সাদার্ন অ্যাভিনিউতে মহিলা চিকিত্সকের মৃত্যুতে দানা বাঁধছে রহস্য। ঘটনায় শনিবার খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিস। তদন্তকারীদের তরফে জানানো হয়েছে, গত মে মাসে চান্দ্রেয়ী দাস চৌধুরী নামে ওই মহিলার মৃত্যু হলেও ময়না তদন্তের রিপোর্ট এসেছে ২ মাস পর। তাতে দেখা যাচ্ছে শ্বাস রোধ করে মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয়েছে চান্দ্রেয়ীকে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত মে মাসে সাদার্ন অ্যাভিনিউর বাড়ি থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয় পেশায় চিকিত্সক ৪৮ বছর বয়সী চান্দ্রেয়ী দাস চৌধুরীকে। তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে দাবি করেন চিকিত্সকরা। প্রাথমিকভাবে একে স্বাভাবিক মৃত্যু বলেই মনে করেছিলেন সবাই। কিন্তু রহস্য ঘণীভূত হয় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসতে। ঘটনার প্রায় ২ মাস পর গত ১০ জুলাই পুলিসের হাতে পৌঁছয় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। তাতে স্পষ্ট করে উল্লেখ করা হয়েছে মৃত্যুর কারণ। পুলিসের তরফে জানানো হয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুসারে মাথায় ভারী কিছুর আঘাত করে অচেতন করার পর শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে চান্দ্রেয়ী দেবীকে। 


বাবার মৃত্যুর পর মা ও ভাইয়ের সঙ্গে সাদার্ন অ্যাভিনিউর বাড়িতেই থাকতেন চান্দ্রেয়ী দেবী। বাড়িটিতে রয়েছে চারটি দরজা। তার মধ্যে একটি দরজা চান্দ্রেয়ীদেবীর মৃত্যুর কয়েকমাস আগে থেকেই বন্ধ ছিল। চান্দ্রেয়ী দেবীর দেহ উদ্ধারের সময় বাকি তিনটি দরজার একটি খোলা ছিল। এতেই সন্দেহ দানা বেঁধেছে তদন্তকারীদের মনে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, পরিচিত কেউ অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে খুন করেছে চান্দ্রেয়ী দাস চৌধুরীকে। 


মেধাতালিকা প্রকাশ করল প্রেসিডেন্সি, তবুও অব্যাহত পড়ুয়া বিক্ষোভ


সেক্ষেত্রে সন্দেহের তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে তাঁর ভাইয়ের নাম। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক মোটেও ভাল ছিল না চান্দ্রেয়ীদেবীর। বাড়ি বিক্রি নিয়ে দু'জনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে মতানৈক্য় চলছিল। এই পরিস্থিতে চান্দ্রেয়ীদেবীর মা ও অন্যান্য পরিজনদের জেরা করে রহস্য উন্মোচনের চেষ্টা করছে পুলিস। তবে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ২ মাসে অনেক পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ফলে তদন্তের জাল গুটাতে সময় লাগবে বলে মনে করছেন তাঁরা।