নিজস্ব প্রতিবেদন : সদা হাসিখুশি মুখের পিছনেই লুকিয়ে রয়েছে একাধিক প্রশ্ন। আনন্দপুর পাম্পিং স্টেশনে গৃহবধূ অর্চনা পালংদারের বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধারের ঘটনায় পরতে পরতে ছড়িয়ে রয়েছে রহস্য। শুক্রবারই জানা যায়, মোবাইল সারানোর নামে ১৭ সেপ্টেম্বর বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন অর্চনা। তারপর আর বাড়ি ফেরেননি। নিখোঁজ হয়ে যান অর্চনা। বৃহস্পতিবার উদ্ধার হয় তাঁর বস্তাবন্দি দেহ। দেখা যায়, শরীরের নিম্নাংশে পচন ধরে গেছে। এবার সামনে এল আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় বছর তিনেক আগে অর্চনার সঙ্গে পারিবারিক বিবাদ বাঁধে স্বামী পিন্টু ও তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেদের। সেইসময় স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের মামলা দায়ের করেছিলেন অর্চনা। পরে অবশ্য সেই মামলা তুলেও নেন অর্চনা। স্বামী পিন্টু দাবি করেছেন, সেই সময় কারোও প্ররোচনাতেই মামলা ঠুকেছিলেন অর্চনা। কিন্তু সেই 'রহস্যময় ব্যক্তি'টি কে? সে সম্বন্ধে নিশ্চিতভাবে কিছু জানতে পারেননি তাঁরা। তবে, তাঁদের সন্দেহের তালিকায় রয়েছেন অর্চনার এক পুরুষ বন্ধু।


আরও পড়ুন, ৮ বছরের 'সুখী' দাম্পত্য, দ্বিতীয়বারের জন্য গর্ভবতী, তবুও স্বামীর কথা বলতে গেলে গৃহবধূর চোখে শুধুই জল


স্বামী পিন্টু জানিয়েছেন, সেইসময় এক পুরুষ বন্ধুর সঙ্গে প্রায়শই বেরত অর্চনা। দুজনকে একসঙ্গে নানা জায়গায় ঘুরতে দেখা যেত। বহু ছবিও রয়েছে দুজনের। যতদূর জানা গেছে, ওই পুরুষ বন্ধুর নাম বলরাম। পুলিস এখন এই 'বন্ধু' বলরাম-এরই খোঁজ চালাচ্ছে। প্রাথমিকভাবে পুলিস মনে করছে, এই বলরামকে ধরতে পারলেই অর্চনা পালংদার খুনের মিসিং লিঙ্কটা খুঁজে পাওয়া যেতে পারে। জানা যেতে পারে, গৃহবধূ খুনের পিছনে আসল কারণ। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক, সম্পর্কের টানাপোড়েন, খুনের পিছনে কোনও সম্ভাবনার কথাই উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিস।


উল্টোডাঙার জহরলাল দত্ত লেনে শ্বশুরবাড়ি ছিল অর্চনার। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়  আনন্দপুর পাম্পিং স্টেশনে উদ্ধার হয় তাঁর বস্তাবন্দি দেহ। বস্তার মধ্যে থেকে উদ্ধার হয় লাল রঙের কুর্তি, কালো পাজামা পরিহিত বছর তিরিশের অর্চনার দেহ। প্রথমে, তাঁর পরিচয় জানা যায়নি। শুক্রবার সকালে মর্গে গিয়ে  দেহ শনাক্ত করেন স্বামী পিন্টু পালংদার। তারপরই সামনে আসে উল্টোডাঙার বাসিন্দা অর্চনা পালংদারের পরিচয়।  


আরও পড়ুন, দেওরের মৃত্যুতে 'ডাইন' অপবাদ! পারিবারিক হিংসার শিকার অভিনেত্রী


বেসরকারি সংস্থার কর্মী পিন্টু ও গৃহবধূ অর্চনার দাম্পত্যে কোনও ফাঁক বা খামতি ছিল না বলেই জানতেন পাড়া-পড়শিরা। পাড়াতে হাসিখুশি, মিশুকে বলে পরিচিত ছিলেন অর্চনা। কিন্তু সেই অর্চনার এমন পরিণতিতে স্তম্ভিত, হতভম্ব হয়ে গিয়েছেন পাড়া- প্রতিবেশীরাও। কিছুতেই হিসেব মিলাতে পারছেন না তাঁরা।