SLST Agitation: `শিশুকে এতদিন বাইরের খাবার খাইয়েছি`! সন্তান কোলে কান্না নূরজাহানের
৭০ দিনের মাথায় ধর্মতলায় SLST কর্মপ্রার্থীদের অবস্থান তুলল পুলিস। ভেঙে দেওয়া হল অস্থায়ী তাঁবু। পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়লেন বিক্ষোভকারীরা।
দেবারতি ঘোষ: হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি পেয়েছেন SSC আন্দোলনকারী, ক্যানসার আক্রান্ত সোমা দাস। নূরজাহান খাতুনের কী হবে? ধর্মতলায় গুরুতর অসুস্থ শিশুসন্তানকে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন এই SLST চাকরীপ্রার্থী। পুলিসি অভিযানের পর এখন দিশেহারা অবস্থা তাঁর।
২০১৬ সালে নিয়োগ পরীক্ষার পরীক্ষায় পাস করেছেন। তাহলে এখনও চাকরির নিয়োগপত্র পেলেন না কেন? পথে নেমেছেন নেমেছেন SLST-র নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি কর্মপ্রার্থীরা। টানা ৭০ দিন ধরে ধর্মতলায় শহিদ মিনারের নিচে অবস্থান-বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁরা।
তখন ৫টা বেজে গিয়েছে। এদিন বিকেলে ধর্মতলায় SLST চাকরীপ্রার্থীদের ধর্নামঞ্চে আসে বিশাল পুলিসবাহিনী। নেতৃত্বে ডিজি(সাউথ)। এরপর যখন মাইকিং শুরু হয়, তখন পাল্টা স্লোগান দিতে থাকেন বিক্ষোভকারীরাও। এসবের মাঝেই আচমকাই ধর্নামঞ্চে হানা দেয় পুলিস। ছিঁড়ে ফেলা হয় অস্থায়ী তাঁবু। টেনে হিঁচড়ে SLST চাকরীপ্রার্থীদের তোলা হয় গাড়িতে। বাধা দিতে গিয়ে পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। চলে তর্কাতর্কিও।
এদিকে ধর্মতলায় শহীদ মিনারের নিচে দাঁড়িয়ে তখন অঝোরে কাঁদছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের নূরজাহান খাতুনের। ২০১৭ সালে পরীক্ষার পাস করার পর প্য়ানেলে নাম উঠেছিল তাঁর। এক বছরের ছেলে হার্টের একটি ভালভ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এক বছরের মধ্যেই অপারেশনের পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তারা। টাকার অভাবে অপারেশন করাতে পারেননি। উল্টে অসুস্থ ছেলে কোলে নিয়েই চাকরি দাবিতে অবস্থান-বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছিলেন নূরজাহানও। পুলিশি অভিযানে আকস্মিকতায় ভেঙে পড়েছেন তিনি।