নিজস্ব প্রতিবেদন: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে সরব হওয়ায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পোলিশ ছাত্রকে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন কামিল কামিল শেদচিনস্কি। মামলার শুনানি আগামিকাল, বুধবার  বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের ঘরে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্যের ছাত্র কামিল শেদচিস্কি। গত ১৯ ডিসেম্বর রামলীলা ময়দানে  সিএএ বিরোধী সভায় যোগ দিয়েছিলেন।  এর পাশাপাশি কথা বলেছিলেন আন্দোলনকারীদের সঙ্গে। সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেন। ২২ ফেব্রুয়ারি তাঁকে ডেকে পাঠানো হয় ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন (FRRO) অফিসে। কামিলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন আধিকারিকরা। তাঁর তোলা ছবিও জমা নেওয়া হয়। এরপরই ধরানো হয় দেশ ছাড়া নোটিস। বলা হয়, ১৫ দিনের মধ্যে তাঁকে ভারত ছেড়ে দেশে ফিরতে হবে। উপাচার্য সুরঞ্জন দাস জানিয়েছেন, এব্যাপারে তাঁকে কিছুই জানানো হয়নি। 


Foreigner Regional Registration Office-এর সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন কামিল। তাঁর আবেদন শুনতে রাজি হয়েছে আদালত। বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের ঘরে মামলার শুনানি।


CAA বিরোধিতায় সামিল হওয়ায় বিশ্বভারতীর ডিজাইনিংয়ের ছাত্রী বাংলাদেশের নাগরিক আফসারা মিমকে দেশ ছাড়া নোটিস ধরানো হয়েছিল। মিছিলে হাঁটায় মাদ্রাজ আইআইটি ছাড়তে হয়েছিল জার্মান ছাত্রকে। বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, বিদেশি নাগরিকদের কিছু শর্তে ভিসা দেওয়া হয়। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাস হয়েছে ভারতীয় সংসদে। সেই আইনের বিরোধিতায় প্রতিবাদ করতে পারেন না বিদেশি নাগরিকরা। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও নাগরিকপঞ্জি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়।             


আরও পড়ুন- লোকসভায় অমিতের ইস্তফা চাইছেন অধীর, দিল্লির বাড়িতে দুষ্কৃতী হামলা