`মমতার প্রকল্প ডোল রাজনীতি বলা ভুল`, আলিমুদ্দিনকে তোপ CPM-এর পলিটব্যুরোর
আলিমুদ্দিনকে তীব্র ভৎর্সনা করেছে সিপিএ পলিটব্যুরো।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভোটের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনমুখী প্রকল্পকে ডোল রাজনীতি বলা ভুল হয়েছিল। এবারে স্বীকার করে নিল পলিটব্যুরো। ইতিমধ্যেই পার্টিনোটে আলিমুদ্দিনকে তীব্র ভৎর্সনা করেছে সিপিএ পলিটব্যুরো। আলিমুদ্দিনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে সিপিএমের কেন্দ্র কমিটি জানায়, ''বাংলায় বিপর্যয়ের পরিণাম গোটা দেশে বয়ে যেতে হচ্ছে।''
২০১১-তেই এই রাজ্যে রাজপাট হারিয়েছে বামেরা। দশ বছর পর ২০২১-এ এসে রাজ্য বিধানসভায় বামেদের বিধায়ক সংখ্যা শূন্য হয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনে কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে সংযুক্ত মোর্চা। সিপিএমের কেন্দ্র কমিটির বক্তব্য, ভোটের যে মারাত্মক ফল তা গোটা দেশকে বইতে হচ্ছে। দ্রুত এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার কথাও জানিয়েছে।
২০১৯ সালে সতর্ক করার পরেও কেন একুশে অবস্থার পরিবর্তন আনতে পারেন নি রাজ্য নেতৃত্ব, সেই বিষয়েও জবাবদিহি চাইল পলিটব্যুরো। আলিমুদ্দিনকে নির্দেশ, ''পশ্চিমবঙ্গে দলের হতাশাজনক অবস্থার দ্রুত পরিবর্তন আনুন।''
আরও পড়ুন, Pegasus row: পেগাসাস মামলায় শীর্ষ আদালতে চ্যালেঞ্জ, হলফনামা জমা দিল রাজ্য সরকার
প্রসঙ্গত, ১৯-এর লোকসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গে ৩৯টি আসনেই জামানত জব্দ হয়েছে বামপ্রার্থীদের। মাত্র একটি আসনে মুখরক্ষা করেছিলেন বিকাশ ভট্টাচার্য। তারপরে একুশের ভোটে ভরাডুবি। পরাজয়ের দায় স্বীকার করার কোনও গরজ তো নেই, বরং মেরুকরণের রাজনীতি হয়েছে বলেই সাফাই গেয়েছে আলিমুদ্দিন।
এরপরেই বুধবার পলিটব্যুরো ও কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে যৌথভাবে বলা হয়, ''পশ্চিমবঙ্গ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ঘাঁটি। সেখানে এই ফলাফল মারাত্মক।''