কলকাতা: কোনও মৃত্যুই  প্রিয় নয়। তারমধ্যেই  কিছু বিদায় থাকে বড় বিষন্নতার। বড়  যন্ত্রণার। সেভাবেই বিদায় নিলেন শিল্পী কালিকাপ্রসাদ।শেষ যাত্রায় শিল্পীর সঙ্গী হয়েছেন তাঁর অসংখ্য অনুরাগী। রবীন্দ্রসদনে শিল্পীকে শেষ শ্রদ্ধা জানান সঙ্গীত জগতের বহু  বিশিষ্ট ব্যক্তি। কেওড়াতলা মহাশ্মশানে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় শিল্পীর। দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছে  ৪৭ এর এক তাজা প্রাণ। আর দেখা যাবে না শিল্পী কালিকাপ্রসাদের দরাজ হাসি। কিন্তু বেঁচে থাকবে তাঁর গান। বেঁচে থাকবে কালিকার মাটির সুর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে প্রথমে শিল্পীর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় বিদ্যাসাগর সেতু টোলপ্লাজায়। শিল্পীকে শ্রদ্ধা জানান মুখ্যমন্ত্রী। এরপর দেহ নিয়ে আসা হয় শিল্পীর সন্তোষপুরের বাড়িতে। সেখানে তখন অগণিত অনুরাগীর ভিড়। ছিলেন শিল্প সংস্কৃতি জগতের বিশিষ্টরা। 


রবীন্দ্রসদন: বিকেল ৪টে ১৫
দেহ পৌছল রবীন্দ্র সদনে। গোধুলি আলোয় তখন বিষন্নতার সুর শহরের সংস্কৃতি অঙ্গনে।  হাওয়ায় ভাসছে কালিকাপ্রসাদের  চেনা লোকগান। শিল্পীকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে কত চেনা মুখের সারি।  পূর্ণদাস বাউল,হৈমন্তী শুক্লা, ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায়,সৌমিত্র রায়,লোপামুদ্রা ইন্দ্রনীল সেন,শ্রীজাত, ইন্দ্রানী সেন উষা উত্থুপ শ্রীকান্ত আচার্য । অচেনা মুখও কম নয়। এঁরা সবাই শিল্পীর অনুরাগী। চোখের জলে শেষ বিদায় জানিয়েছেন সকলেই। শিল্পীকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে রবীন্দ্রসদন উপস্থিত ছিলেন  রাজনৈতিক জগতের ব্যক্তিত্বরাও। সন্ধে ছটায় রবীন্দ্রসদনে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর দেহ নিয়ে রওনা  কেওড়াতলা শ্মশানের উদ্দেশ্যে। 


কেওড়াতলা শ্মশান
সাতটার একটু আগেই মরদেহবাহী শকট এসে পৌছয় কেওড়াতলা শ্মশানে। সেখানেই গান স্যালুটে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় শিল্পীর।