নিজস্ব প্রতিবেদন: লক ডাউনের জেরে কার্যত থেমে গিয়েছে গোটা বিশ্ব। বন্ধ দোকান পাঠ। বন্ধ ব্যবসা। ফিরে গিয়েছেন বহু শ্রমিক, কেউ অপারগ। আর তাঁদের কথা মাথায় রেখেই এক বেনজির সিদ্ধান্ত নিলেন এক ব্য়বসায়ীর। শ্রমিকদের ফিরিয়ে দেননি, বরং তাঁদের কাছে রেখেই লকডাউনের দিনগুলোতে তাঁদের পেট চালানো দায়িত্বনি নিয়েছেন খিদিরপুর পোর্ট এলাকার এক ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

লকডাউনের প্রথম দিন থেকেই শুধু নিজের শ্রমিক নয় আশেপাশের আটকে পড়া শ্রমিকদেরও দু-বেলা খাবার খাবার জোগাচ্ছেন তিনি। প্রতিদিন তৈরি হচ্ছ প্রায় ৭ হাজার রুটি। কিনে ফেলা হয়েছে আস্ত একটা রুটি তৈরির মেশিন। শুধু তাই নয় কোনও দিন তৈরি হচ্ছে হাজার সাতেক পুরিও। আবার কখনো ৩০০ কেজি চালের খিচুড়ি। সবটাই করছেন একক উদ্যোগে।


ট্রাকে আটকে থাকা পোর্ট এলাকার সমস্ত ড্রাইভার, খালাসী তো খাচ্ছেনই। আশেপাশের বিশেষভাবে সক্ষম মানুষ, পতিতা পল্লীতেও যাচ্ছে খাবার। প্রতিদিন প্রায় সাড়ে তিন হাজার লোক খাচ্ছেন। দিন পিছু খরচ প্রায় ৩০ হাজার। আয় বন্ধ, খরচও বিশাল। তবে ব্যবসায়ী বলছেন জমানো পুঁজি, ভাই-এর সাহায্যে চলছে এই গোটা কর্মকাণ্ড। আর তাতেই আনন্দ পাচ্ছেন তিনি।