ওয়েব ডেস্ক: পোস্তায় উড়ালপুল বিপর্যয়ের পুলিসি তদন্তে গড়িমসির অভিযোগ। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকে দেওয়া লালবাজারের একটি চিঠিতে সেই অভিযোগ এবার আরও জোরাল হল। একতিরিশে মার্চ পোস্তায় ভেঙে পড়েছিল নির্মীয়মান উড়ালপুলের একাংশ। ঘটনার প্রায় দেড়মাস  পর, আহতদের বিবৃতি নেওয়ার জন্য, হাসপাতালের কাছে নথি চেয়ে চিঠি দিয়েছে লালবাজার। কলকাতা পুলিসের ডিটেকটিভ ডিপার্টমেন্টের তরফে দশই মে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে একটি চিঠি দেওয়া হয়। ওই চিঠিতে ব্রিজ বিপর্যয়ে জখম দশজনের নাম উল্লেখ করে, তাঁদের চিকিত্‍সার অরিজিনাল নথি চেয়ে পাঠিয়েছে পুলিস। ওই দশজন আহতের মধ্যে কয়েকজন নির্মাণকর্মীও আছেন। পুলিসের উল্লেখ করা দশজনের বাইরে যদি কোনও আহতের তথ্য হাসপাতালের কাছে থেকে থাকে, তাও চেয়ে পাঠিয়েছে লালবাজার।


উড়ালপুল দুর্ঘটনার তদন্তে ওই আহতদের বিবৃতি নিতে চায় পুলিস। NRS, SSKM, আর জি কর, মারোয়ারি রিলিফ সোস্যাইটি এবং CMRI কেও একই চিঠি পাঠানো হচ্ছে। আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন। আহতদের নথি চাইতে কেন দেড়মাস লেগে গেল পুলিসের? বিবেকানন্দ উড়ালপুল নির্মাণে নিম্ন মানের সামগ্রী  সরবরাহে অভিযুক্ত রজত বক্সি এখনও ফেরার। বিদায়ী তৃণমূল বিধায়ক স্মিতা বক্সির স্বামী সঞ্জয় বক্সির খুড়তুতো ভাই হওয়ার কারণেই পুলিস রজত বক্সিকে ঘাঁটাচ্ছে না বলে অভিযোগ বিরোধীদের। এই পরিস্থিতিতে লালবাজারের বিলম্বিত চিঠি বিতর্ক আরও বাড়িয়ে দিল।