ডিজাইনে গলদ, তা চাপা দিতে গিয়েই ভেঙে পড়েছে বিবেকানন্দ ফ্লাইওভার
ডিজাইনে গলদ। আর তা চাপা দিতে গিয়েই ভেঙে পড়ল বিবেকানন্দ ফ্লাইওভার। উড়ালপুল বিপত্তির পর থেকে যে অভিযোগ শোনা যাচ্ছিল, তা আরও উসকে দিল নির্মাণ সংস্থা IVRCL-র আধিকারিক, সেতুর সাইট ইনচার্জের লেখা চিঠি। গ্রেফতার হওয়া সেই আধিকারিক নিলয় রায়ের চিঠি ২৪ ঘণ্টার হাতে।
ওয়েব ডেস্ক: ডিজাইনে গলদ। আর তা চাপা দিতে গিয়েই ভেঙে পড়ল বিবেকানন্দ ফ্লাইওভার। উড়ালপুল বিপত্তির পর থেকে যে অভিযোগ শোনা যাচ্ছিল, তা আরও উসকে দিল নির্মাণ সংস্থা IVRCL-র আধিকারিক, সেতুর সাইট ইনচার্জের লেখা চিঠি। গ্রেফতার হওয়া সেই আধিকারিক নিলয় রায়ের চিঠি ২৪ ঘণ্টার হাতে।
৩১ মার্চ, ২০১৬
পোস্তায় ভেঙে পড়ল উড়ালপুল।
কেন উড়ালপুর বিপর্যয়?
কার গাফিলতি?
গোড়ায় গলদ?
উড়ালপুলের ডিজাইন নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন IVRCL আধিকারিক এবং সাইট ইনচার্জ নিলয় রায়। এজিএস প্রোজেক্ট মল্লিকার্জুন রাওকে এই মর্মে চিঠিও লিখেছিলেন তিনি। সেই চিঠি চব্বিশ ঘণ্টার হাতে। চিঠিতে নিলয় রায়ের দাবি, সেতুর ডিজাইনে গলদের কথা তিনি গত অগাস্ট মাসেই উপদেষ্টা ডিজাইনারকে জানিয়েছিলেন। যদিও গোপন সূত্রে জানা যাচ্ছে সেতুর উপদেষ্টা ডিজাইনারের দাবি, এধরনের কোনও চিঠিই তিনি পাননি। ডিজাইনে কোন গলদের কথা বলেছিলেন নিলয় রায়?
ঘটনাস্থলে উড়ালপুলের তিনটি পিলার রয়েছে। ৩৯ নম্বর পিলারটি ছিল রাস্তার দুদিকেই। ৪০ নম্বর পিলারটি ছিল টি আকৃতির, রাস্তার মাঝখানে। ৪১ নম্বর পিলারটি ছিল ফের রাস্তার দুদিকেই।
সাইট ইনচার্জের চিঠি অনুযায়ী, ৩৯ নম্বর পিলারের তুলনায় টি-আকৃতির ৪০ নম্বর পিলারের উচ্চতা বেশি ছিল। ফলে এই দুটি পিলারের ঢাল ঠিক ছিল না। একই সমস্যা হয় ৪০ এবং ৪১ নম্বর পিলারের মাঝখানের সেতুর ঢাল নিয়ে।
৩১ তারিখটি আকৃতির ৪০ নম্বর পিলারটি ভেঙে পড়ে। এর ফলে ৪০ নম্বর এবং ৩৯ আর ৪০ এবং ৪১ নম্বর পিলারের মাঝের সেতুর অংশ ভেঙে পড়ে যায়।
দুর্ঘটনার আগের রাতে, ৪০ এবং ৪১ নম্বর পিলারের মাঝে সেতুর ওপর ঢালাইয়ের কাজ হচ্ছিল। দুর্ঘটনার পর অভিযোগ ওঠে, প্রয়োজনের চেয়ে অনেক পুরু কংক্রিট ঢালাই করা হচ্ছিল। বাড়তি সেই কংক্রিটের চাপেই ভেঙে পড়ে উড়ালপুল। তবে কি৪০ নম্বর পিলারের উচ্চতায় বেশি থাকায় সেতুর ঢাল সমান রাখতেই এত মোটা কংক্রিটের ঢালাই করা হয়। সেই প্রশ্ন তুলছেন বিশেষজ্ঞরা। উড়ালপুলের সাইট ইনচার্জের চিঠি সেই বিতর্ক আরও উসকে দিল।