নিজস্ব প্রতিবেদন: সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের যে সম্মানপ্রাপ্য ছিল, তার থেকেও বেশি পেয়েছেন। দিদি ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়ে বললেন সৌমিত্রবাবুর মেয়ে পৌলমী বসু।    


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শুশ্রূষার সমস্ত খরচ বহন করেছে রাজ্য সরকার। রবিবার তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরই মিন্টোপার্কের বেসরকারি হাসপাতালে ছুটে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে পৌলমী বসু বলেন, ''যখন সুযোগ পেয়েছি, বলতে চাই দিদি ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। বাবাকে এত যত্ন, এত ভালোবেসে, এত সম্মান দিয়ে দেখাশুনো করার জন্য ধন্যবাদ। আমাদের পরিবার এটা ভুলবে না। যা সম্মান ওঁর প্রাপ্য ছিল, তার থেকেও বেশি সম্মান পেয়েছেন। ভালবেসে নিজের পরিবারের মতো আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।''


পরিবর্তনের আগের জমানায় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের 'কাছের লোক' ছিলেন বামমনস্ক সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। বুদ্ধবাবুর পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রথম দিকে তৈরি হয়েছিল দূরত্ব। নন্দনের ঘেরাটোপ থেকে কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবকে নেতাজি ইন্ডোরে নিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী। তা পছন্দ হয়নি সৌমিত্রবাবুর। যাননি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। তবে মমতার উদ্যোগে পরে বরফ গলে। মতাদর্শের ফারাক থাকলেও উত্তম কুমারের প্রয়াণ দিবসে সৌমিত্রবাবুকে 'মহানায়ক' পুরস্কার দেয় রাজ্য সরকার। এরপর 'বঙ্গবিভূষণ' সম্মানে ভূষিত হন সৌমিত্র। চলচ্চিত্র উৎসবের সমাপ্তি অনুষ্ঠান, বইমেলার উদ্বোধনে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল মমতা ও সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে। পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম সৌমিত্রবাবুর নাতি রণদীপ বসুর চিকিৎসায় সব ধরনের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে জন্য বর্ষীয়ান অভিনেতা কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছিলেন। কোভিড আক্রান্ত সৌমিত্রর চিকিৎসার সব খরচও বহন করেছে রাজ্য সরকার। অতীত ভুলে সৌমিত্রবাবুর দিকে বারেবারে হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেই বৃত্তই সম্পূর্ণ হল তাঁর শূন্যতায়। 


আরও পড়ুন- সৌমিত্রর প্রয়াণে বাংলায় শোকবার্তা প্রধানমন্ত্রীর, টুইট শাহ-নাড্ডার