নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রেসিডেন্সির সমাবর্তনের জায়গা বদলের দায় কার? পড়ুয়ারা কর্তৃপক্ষের দিকে আঙুল তুলছেন। উপাচার্য আবার পাল্টা দায়ী করছেন ছাত্রছাত্রীদের। দু-পক্ষের স্নায়ুর লড়াইয়ের ফল, আচার্যের হাত থেকে ডিগ্রি নেওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, রাজ্যে লিটার পিছু ১ টাকা কমল পেট্রোল-ডিজেলের দাম, নবান্নে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর


দুশো বছরের ইতিহাস। হিন্দু কলেজ থেকে প্রেসিডেন্সি কলেজ। তারপর বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার পর এবারই প্রথম সমাবর্তনে পিএইচডি ডিগ্রি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, হিন্দু হস্টেল বিতর্কে সেসব কিছুই হল না। সোমবার হিন্দু হস্টেলের দাবিতে গেট বন্ধ দেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজা থেকে ফিরে যান উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া। তারপরই ঠিক হয় ডিরোজিও হলে নয়। সমাবর্তন হবে নন্দন তিন প্রেক্ষাগৃহে। পড়ুয়াদের হাতে পরে তুলে দেওয়া হবে ডিগ্রি।


কিন্তু হিন্দু হস্টেলের দাবিতে আন্দোলনরত পড়ুয়াদের দাবি, সোমবার বিকেলেই তাঁরা প্রেস রিলিজ দিয়ে জানিয়ে দিয়েছিলেন, সমাবর্তনে কোনও আপত্তি নেই। তবে পড়ুয়াদের কাছ থেকে সহযোগিতা পাওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন উপাচার্য। শেষমুহূর্তে সমাবর্তনের জায়গা বদল করা হয়। পড়ুয়ারা জানতে পারেন, নন্দনের অনুষ্ঠানেও মিলবে না ডিগ্রি। তবুও, এদিন যাঁদের ডিগ্রি পাওয়ার কথা ছিল, তাঁদের অনেকেই চলে আসেন প্রেসিডেন্সি ক্যাম্পাসে।


আরও পড়ুন, ৩ বিজেপি প্রার্থীকে অপহরণ, পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন ঘিরে ধুন্ধমার সাঁতুড়ি


প্রেসিডেন্সির পড়ুয়াদের এই  আন্দোলনে বাইরের উস্কানি রয়েছে বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানী বিকাশ সিনহা। উপাচার্যের ভাষণেও এল সেই প্রসঙ্গ। বাইরে থেকে প্রেসিডেন্সির পড়ুয়াদের উস্কে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন অনুরাধা লোহিয়াও। নন্দনে সমাবর্তন শেষে এদিন ক্যাম্পাসে ফিরে গিয়ে পড়ুয়াদের কাছে ক্ষোভ উগরে দেন উপাচার্য। হিন্দু হস্টেল নিয়ে আন্দোলনে তাঁরা কেন আচার্যের হাত থেকে ডিগ্রি পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবেন? উপাচার্যের কাছে পাল্টা এ প্রশ্ন তোলেন পড়ুয়ারাও।


তবে এদিন সমাবর্তনে শুধুমাত্র অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে সাম্মানিক ডিলিট ও বিজ্ঞানী সিএনআর রাওকে ডিএসসি দেওয়া হয়। নন্দনের বাইরে ছিল না একটা ব্যানারও। আমন্ত্রণ পেয়েও সমাবর্তনে যাননি শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আর বিতর্কের জেরে আচার্য রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীও সমাবর্তন এড়িয়ে গেলেন বলে মনে করছে শিক্ষামহল। আরও পড়ুন, 'কলেজ পাড়ার বাড়িটির দিকে শঙ্কা মিশ্রিত সম্ভ্রম নিয়ে তাকিয়ে থাকতাম', ডিলিট গ্রহণ করে স্মৃতিমেদুর সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়