Presidential Election: রাজ্যে রিসর্ট পলিটিক্স চলছে; আতঙ্কে বিধায়কদের হোটেলবন্দি করেছে বিজেপি: অভিষেক
শমীক ভট্টাচার্য বলেন, এরাজ্যে ভোটাররা সুরক্ষিত নন। মানুষ ভোট দিতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন। রক্তাক্ত হয়েছেন। খুন হয়েছেন। ঘরছাড়া হয়েছেন। এখন এবার এই নির্বাচনে যারা অংশ নিচ্ছেন তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি দেখার দায়িত্ব পার্টির
শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে দলের বিধায়কদের নিউ টাউনের একটি হোটেলে নিয়ে গিয়ে তুলল বিজেপি। এনিয়ে গেরুয়া শিবিরকে খোঁচা দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনি বলেন, অন্য দলের বিধায়কদের আটকে রাখার পরিবর্তে নিজেদের বিধায়কদেরই হোটেলবন্দি করে রাখতে হচ্ছে। এই হচ্ছে রিসর্ট রাজনীতির ফল।
সোমবার বিধানসভায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলছে। সেই ভোট দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যেমন কর্ম তেমন ফল। অসমে যা করেছে তার ফল ভোগ করে হচ্ছে। পাপ করলে তা ছেড়ে কথা বলবে না। এত ভয় বিজেপির যে তাদের নিজেদের বিধায়কদেরই পাঁচতারা হাটেলে বন্ধ করে রাখতে হচ্ছে। এনডিএ শাসিত রাজ্যে আমাদেরও বিধায়ক রয়েছে। আমরা তো কাউকে হেটেলে বন্ধ করে রাখিনি। সুতরাং ওরা জানে মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রয়েছেন। দিন দিন মানুষের সমর্থন বাড়ছে। ওরা ভীত সন্ত্রস্ত। ইডি সিবিআই লাগিয়ে তৃণমূলকে দমাতে পারছে না। তাই নিজেদের বিধয়াকদের জোর করে আটকে রেখেছ। রিসর্ট পলিটিক্স ওরা বাংলায় নিয়ে এসেছে। গোটা দেশ তা দেখছে। ওরা এখন নিজেরাই জানে না কে তৃণমূলে, আর কে বিজেপিতে রয়েছেন। তাই জোর করে বিধায়কদের আটকে রাখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগের দিন রাজ্যের ৬৯ বিধায়ককে নিউ টাউনের একটি হোটলে তুলেছে বিজেপি। এমনটাই খবর সংবাদমাধ্যমের। ক্রস ভোটিংয়ের আশঙ্কায় ওই সব বিধায়কদের হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে তৃণমূল অভিযোগ করলেও বিজেপির দাবি, প্রশিক্ষণের জন্যই দলের বিধায়কদের হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মহারাষ্ট্রেও একই কাজ করেছে বিজেপি।
এনিয়ে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, এরাজ্যে ভোটাররা সুরক্ষিত নন। মানুষ ভোট দিতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন। রক্তাক্ত হয়েছেন। খুন হয়েছেন। ঘরছাড়া হয়েছেন। এখন এবার এই নির্বাচনে যারা অংশ নিচ্ছেন তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি দেখার দায়িত্বপার্টির। সেই দায়িত্বই পালন করছে দল। তৃণমূল কংগ্রেস নিজের ঘর সামলাক। একসময় বলা হয়েছিল দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু জানালাগুলো খুলে রাখা হয়েছে। ২০২৪ পর্যন্ত দলটাতে ঐক্যবদ্ধ রাখুক তার পর অন্য কথা।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে তৃণমূলকে নিশানা করেছেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। একটি টুইট করে তিনি বলেছেন, বিধায়করা ক্রস ভোট দিতে পারেন এরকম একটা ভয় পাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই আগে থেকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে রিগিংয়ের অভিযোগ তুলে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে।
আরও পড়ুন-ডেটায় কারচুপি, গ্রাহকদের ৫ কোটি ৫৯ লাখ তছরুপ পোস্ট মাস্টারের!