অর্ণবাংশু নিয়োগী: শূন্য়পদের সংখ্যা ৩৯২৯। নিয়োগ কীভাবে? হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হল পর্ষদ। মামলা দায়ের করা হল বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে। চলতি সপ্তাহেই মামলার শুনানির সম্ভাবনা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

টেটে নিয়োগে আবেদনের প্রক্রিয়া চলছে।  ২০১৪ ও ২০১৭ সালে যাঁরা টেট পাস করেছেন এবং যাঁদের বয়স চল্লিশের নিচে, তাঁরা প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন। ১১ হাজারেরও কিছু বেশি শূন্যপদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে পর্ষদ। এমনকী, ২০১৭ সালে টেটের নম্বরও প্রকাশ করা হয়েছে। পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল জানিয়েছেন, 'ভেরিফিকেশনের সময়ে প্রার্থীদের হাতে নম্বরের নথি থাকবে। চাইলে কোনও প্রার্থী চ্যালেঞ্জও করতে পারবেন। দু'একদিনের মধ্যেই ২০১৪ সালের টেটের নম্বরও প্রকাশ করা হবে'।


এর আগে, ২০১৪ সালের টেটের ভিত্তিতে ২০২০ সালে দ্বিতীয় পর্যায়ে নিয়োগ করেছিল পর্ষদ। সেবার চাকরি পেয়েছিলেন ১৬ হাজার ৫০০ জন। কিন্তু এখনও বহু পদ খালি! নিয়োগের দাবিতে মামলা দায়ের করা হয় হাইকোর্টে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সিঙ্গল বেঞ্চে তখন মামলাটির শুনানি চলছে। দেখা যায়, প্রাথমিকে শূন্যপদের সংখ্যা ৩৯২৯! ওই শূন্য়পদগুলি নিয়োগের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই এবার ডিভিশন বেঞ্চে গেল পর্ষদ।



আরও পড়ুন: ১১ ডিসেম্বরের টেট পরীক্ষার্থীদের জন্য বড় ঘোষণা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের


এদিকে ২০১৭ সালে টেটের নম্বর প্রকাশিত হওয়ার পর ফের হাইকোর্টে যাচ্ছেন চাকরিপ্রার্থীরা। যাঁরা মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাঁরা সকলেই ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার্থী। পর্ষদের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, 'হাইকোর্টে নির্দেশ অনুযায়ী ২০১৭ সালে টেটে যাঁরা ৮২ নম্বর পেয়েছিলেন, তাঁদের উত্তীর্ণ ধরা হবে। খুব তাড়াতাড়ি নামের তালিকাও প্রকাশ করা হবে'। চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, ২০১৪ সালের টেটের নম্বরও প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। কিন্তু পর্ষদের বিজ্ঞপ্তিতে শুধুমাত্র ২০১৭ সালের টেটের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)