শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্য়ায়: নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ রাখতে বড় উদ্যোগ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের। এবার থেকে রেজাল্টের সঙ্গে পরীক্ষার্থীরা তাঁদের OMR শিট হাতে পাবেন। কোন প্রশ্নে কত নম্বর পেয়েছেন, OMR শিটে তারও উল্লেখ থাকবে। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতিতে সাদা OMR শিট জমা দেওয়ার পরেও পাস করিয়ে দেওয়ার অভিযোগ সামনে এসেছে। ফেল করা পরীক্ষার্থীদের নম্বর বাড়িয়ে দেওয়ারও অভিযোগ সামনে এসেছে। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে এধরনের অভিযোগে জর্জরিত বোর্ড। পাশাপাশি OMR শিট নষ্ট করার অভিযোগও উঠেছে বোর্ডের বিরুদ্ধে। এই সব অভিযোগের প্রেক্ষিতে নিয়োগপ্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতেই এবার এই বিশেষ উদ্যোগ বোর্ডের। চলতি বছরের TET পরীক্ষার OMR শিট রেজাল্টের সঙ্গেই তুলে দেওয়া হবে পরীক্ষার্থীদের হাতে। যাতে পরীক্ষার্থীরা তাঁদের পারফরম্যান্সের তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর মিলিয়ে দেখতে পারেন। উল্লেখ্য, চলতি বছর ১১ ডিসেম্বর টেট। ইতিমধ্যেই ১১ হাজারের বেশি শূন্যপদের জন্য আবেদন জমা পড়েছে প্রায় ৭ লাখ। যা রেকর্ড সংখ্যক। আগেরবারের থেকে প্রায় ৩ গুণ বেশি। মোট ৬ লাখ ৯০ হাজার চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেছেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রসঙ্গত, সাত বছর পর খুলেছে জট। হাইকোর্টের নির্দেশের পর টেট-এর নম্বর প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তারপরই সোমবার সন্ধে গড়াতেই পর্ষদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে দেওয়া হয় ২০১৭ সালে টেটে পরীক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর। পাশাপাশি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছে, প্রাপ্ত নম্বর জানতে পারবেন ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণরাও।  এক সপ্তাহের মধ্যে জানা যাবে ২০১৪ সালের টেটের নম্বর। পর্ষদের এই ঘোষণা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এর ফলে ওই মার্কসের নথি হাতে নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা। পাশাপাশি ওই মার্কস নিয়ে কারও কোনও আপত্তি থাকলে তা চ্যালেঞ্জও করতে পারবেন। রাজ্যের ১ লাখ ৩৪ হাজারেরও বেশি টেট পরীক্ষার্থী তাদের নম্বর জানতে পারছেন পর্ষদের এই পদক্ষেপে।


উল্লেখ্য, এসএসসি-তে আদালতে ফরেনসিক রিপোর্ট পেশ করে সিবিআই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানায়। রিপোর্টে উল্লেখ, এসএসসি সার্ভারেই প্রাপ্ত নম্বর বদল করা হয় অকৃতকার্য প্রার্থীদের। গ্রুপ সি-তে ৩,৪৮১ জনের নম্বর বদল করা হয়েছে। গ্রুপ ডি-তে ২,৮২৩ জনের নম্বর বদল করা হয়েছে। নম্বর বদল করা হয়েছে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রেও। এসএসসি সার্ভার রুম থেকে ৩টি হার্ড ডিস্ক উদ্ধার হয়েছে। সেই হার্ড ডিস্ক থেকেই উদ্ধার হয়েছে সমস্ত উত্তরপত্রের স্ক্যান করা কপি। যেখানে দেখা যাচ্ছে, প্রার্থী হয়তো আদতে ১ বা ০ পেয়েছেন। ফেল করেছেন! অথচ সার্ভারে ওই প্রার্থীর প্রাপ্ত নম্বর দেখা যাচ্ছে ৫০ বা ৭০। এমনকি ফাঁকা OMR শিট পর্যন্ত জমা দেওয়া হয়েছে! প্রার্থী কিছুই লেখেননি! যেখানে পরে ৫৩ নম্বর বসিয়ে দেওয়া হয়েছে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)