শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: চাকরির দাবিতে সল্টলেকের করুণাময়ীতে বসে রয়েছেন ২০১৪ সালের প্রাথমিকে টেট উত্তীর্ণরা। ইতিমধ্যেই ৫২ ঘণ্টা পার হয়ে গিয়েছে তাদের অবস্থান। উপযুক্ত আশ্বাস না পেলে তাঁরা উঠবেন না। পাশাপাশি অনড় পর্ষদ সভাপতিও। তাঁর সাফ বক্তব্য তিনি নিয়ম ভাঙতে পারবেন না। ওরা মনে করলে আদালতের নির্দেশ আনুন। নিয়োগ প্রক্রিয়ার অংশ নেবেন না অথচ নিয়োগ করতে হবে। এ জিনিস এনসিইটির আইনানুগ নয়, মেনে নেওয়া যায় না। চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, ইন্টারভিউ ছাড়াই চাকরি দিতে হবে। অন্যদিকে, পর্ষদ এই আন্দোলনকে গুরুত্ব দিতে রাজী নয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-রক্তে ভাসছে শরীর, যৌনাঙ্গে বিঁধে লোহার রড! ৫ জন মিলে ২ দিন ধরে গণধর্ষণ যুবতীকে


প্রাথমিক শিক্ষা পর্যদের সভাপতি গৌতম পালের বক্তব্য-


১.  ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণরা যে দাবি করছেন তাদের দাবি কোনওভাবেই মানা সম্ভব নয়। চাকরিপ্রার্থীদের দাবি মানতে হল ২০১৬ সালের আইন তাঁকে ভাঙতে হবে। তাই আইন মানতে গেলে চাকরিপ্রার্থীদের দাবি মানা সম্ভব নয়।


২. সব রাজনৈতিক দলের কাছেই অনুরোধ, গোটা বিষয়টি ও বাধ্যবাধকতার ক্ষেত্রটা বুঝতে হবে। তা না হলে ওইসব রাজনৈতিক নেতারাই আইন অনুযায়ী চাকরির ব্যবস্থা করুন। আইন মানার বাধ্যবাধকতা পর্ষদের রয়েছে। রাজনৈতিক নেতাদের নেই। 


৩. চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, আগে নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে। তাই তারা চাকরি পাননি। সেই জায়গা থেকে তারা নিয়োগে ছাড় চাইছেন। এই যুক্তির পাল্টা পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল বলছেন। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তারা অংশ নেবেন না। ইন্টারভিউতে বসবেন না। আগে তাদের নিয়োগ দিতে হবে। এটা কি আইনানুগ? এনসিটিই-র পরামর্শ নিচ্ছি। তারা সবাই বলছেন, চাকরিপ্রার্থীদের দাবি আইন সম্মত নয়। নিয়ম না মানলে মামলা হবে।


চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, আন্দোলেন বনাম পর্ষদের যে অনড় অবস্থান থেকে সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসার কোনও সম্ভাবনা আপাতত দেখা যাচ্ছে না। পর্যদ সভাপতি সাফ জানিয়েছেন, ২০১৬ সালের আইন মেনে যদি তাঁকে চলতে হয় তাহলে এদের চাকরি হবে না। ২০১৬ সালের ওই নিয়মে যারা টেট পাস করেছে তাদের ইন্টারভিউয়ের সুযোগ দিতে হবে। অন্যদিকে, ২০১৪ সালের টেট পাস করা প্রার্থীদের দাবি, আগে তাদের চাকরির সুযোদ দিতে হবে। কারণ দুর্নীতি হওয়ার জন্যই তাদের চাকরি হয়নি। পর্যদ সভাপতির বক্তব্য দুর্নীতি এখনও প্রমাণিত নয়। নিয়োগে করতে হলে আদালতের আদেশ আনতে হবে। তাহলে আদালতের নির্দেশ তিনি মেনে নেবেন। 


এই আন্দোলনের মানে কী? এক আন্দোলনকারী জি ২৪ ঘণ্টাকে বলেন, আমাদের আন্দোলনের কোনও মানে যদি না থাকে তাহলে যারা খালি ওএমআর শিট জমা দিয়ে, দুর্নীতি করে চাকরি পেয়েছে তারা কি যোগ্য? তারা চাকরি পেলে আমরা কেন পাব না। সেই দাবিতেই আমরা রাস্তায় বসেছি। আমাদের ইন্টারভিউয়ে যেতে বলা হচ্ছে। কিন্তু ২০১৪ সালের নিয়োগ নিয়ম আর ২০১৬-র নিয় একেবারে আলাদা। ইতিমধ্যেই আমরা ২ বার ইন্টারভিউ দিয়ে দিয়েছি।     


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)