এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল নজরদারির টাওয়ার `ছোট`, আকাশপথে বিপদের আশঙ্কা!
আকাশে বিপদ। উড়ানে সমস্যা। দেখবে কে? অবশ্যই দায়িত্ব ATC-র (এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল)। কিন্তু চোখ বেঁধে দিলে, তা কি সম্ভব? অথচ অভিযোগ, এমনটাই ঘটছে খাস কলকাতায়। টাওয়ারের উচ্চতা নিয়ে কাজিয়া ATC-এয়ারপোর্টের। যাত্রীদের জীবন নিয়ে চলছে ছেলেখেলা।
ওয়েব ডেস্ক: আকাশে বিপদ। উড়ানে সমস্যা। দেখবে কে? অবশ্যই দায়িত্ব ATC-র (এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল)। কিন্তু চোখ বেঁধে দিলে, তা কি সম্ভব? অথচ অভিযোগ, এমনটাই ঘটছে খাস কলকাতায়। টাওয়ারের উচ্চতা নিয়ে কাজিয়া ATC-এয়ারপোর্টের। যাত্রীদের জীবন নিয়ে চলছে ছেলেখেলা।
চোখ বাঁধা ATC-র! ATC মানেই, আকাশ-যাত্রায় মূল ভরসা। ATC ম্যানেজারদের সিদ্ধান্ত-বিচক্ষণতা বিমান ও যাত্রীসুরক্ষার মূলমন্ত্র। ২০১২ সালে কলকাতা বিমানবন্দরের আধুনিকীকরণের পর, নতুন আরেকটি ATC টাওয়ার তৈরির পরিকল্পনা হয়। বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত নতুন টাওয়ারটি উচ্চতায় হবে ৫৭.৯মিটার।
কিন্তু ATC-র বক্তব্য, উচ্চতা হওয়া উচিত ন্যূনতম ১১২ মিটার। টাওয়ারের উচ্চতা কম হলে, আশেপাশের অঞ্চলের একটা বড় অংশই চলে যাচ্ছে ATC-র চোখের আড়ালে। উচ্চতা না বাড়িয়ে আপস সুরক্ষার সঙ্গে! ATC ম্যানেজারদের দরকার, ৩৬০ ডিগ্রি ভিউ। অর্থাত্ চারদিকে স্পষ্ট নজর। কিন্তু হচ্ছে কই?
নতুন ইন্টারন্যাশনাল টার্মিনালে ঢাকা পড়ে যাচ্ছে এয়ারক্রাফ্ট পার্কিং এরিয়া যতক্ষণ না বিমান ট্যাক্সি বে-তে পৌছয় ততক্ষণ নজরে আসে না। টাওয়ারের কম উচ্চতার কারণে শুধু মাটি কেন, আকাশও ATC-র নজরের আড়ালে। একদিকে নিবেদিতা সেতুর দিকের অংশ কিংবা কৈখালি, বিমান আসা-যাওয়ার পথে ATC-র চোখ কার্যত বাঁধা। এয়ারপোর্টের বাইরেও পাঁচ মাইল এলাকা পর্যন্ত খোলা চোখে, স্পষ্ট নজরে দেখা যাওয়া দরকার। কিন্তু উচ্চতার বাধায় তা আটকে যাচ্ছে। গলদ গোড়াতেই।
যে টাওয়ার থেকে এখন কাজ চলে, সেখানেও এক অসুবিধে। আশা ছিল, নতুন টাওয়ার হলে সমস্যা হয়ত মিটবে। কিন্তু সে গুড়েও বালি। বিষয়টি নিয়ে বহুবার এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষকে বলা হলেও, কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি বলে অভিযোগ। বিষয়টি দেখার আর্জি জানিয়ে ATC গিল্ডের তরফে চিঠি দেওয়া হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও ইতিমধ্যে মিলেছে। রাজ্যের দাবি শহরের আকাশের নিরাপত্তায় যেন কোনও আপোস না থাকে। এখন প্রশ্ন, সমাধান কবে হয়!