নিজস্ব প্রতিবেদন: বাংলা জয়ই এখন টার্গেট অমিত শাহের। আর তাই সর্বভারতীয় সভাপতির দায়িত্ব জেপি নাড্ডা কাঁধে থাকলেও পশ্চিমবঙ্গের নেতাদের সঙ্গে বসছেন নরেন্দ্র মোদীর সেনাপতি। ১ অক্টোবর দিল্লিতে ওই বৈঠকে থাকবেন দিলীপ-মুকুলরা। তবে একটা প্রশ্ন ইতিউতি ঘুরছে, রাহুল সিনহা কি বৈঠকে ডাক পাবেন? কারণ, বিহারের ভোটে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন অমিত শাহ-জেপি নাড্ডা। তার আগে বাংলার নেতাদের সঙ্গে ওই বৈঠক তাৎপর্যপূর্ণ। বিজেপির সদ্য প্রাক্তন জাতীয় সম্পাদকের দাবি, তাঁকে বৈঠকে থাকতে বলেছেন শিবপ্রকাশ। তবে এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ পাননি রাহুলবাবু।            


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

করোনা আবহে সল্টলেকের বিজে ব্লকের অস্থায়ী অফিসে বসছেন রাহুল সিনহা। আপাতত এটাই তাঁর ঠিকানা। বিজেপি নেতা শিবপ্রকাশের সঙ্গে দেখা করে এদিন কথা বলেন রাহুল সিনহা। দু'জনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ আলোচনা হয়। রাহুল সিনহার দাবি, ১ অক্টোবরের বৈঠকে দিল্লি যেতে বলা হয়েছে তাঁকে। তবে এখনও পর্যন্ত তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ পাননি বলে খবর। এর মধ্যে আরএসএসের এক সর্বভারতীয় নেতার সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে রাহুল সিনহার। 



দিল্লির বৈঠকে রাহুল সিনহা ডাক পান কিনা, সেদিকে তাকিয়ে এখন রাজনৈতিকমহল। নাড্ডার ঘোষিত নতুন কমিটিতে জাতীয় সম্পাদকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে রাহুল সিনহাকে। তাঁর জায়গায় এসেছেন অনুপম হাজরা। এনিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন রাহুলবাবু। বলেছেন,''তৃণমূল নেতা এসে তাঁর পদ নিয়ে চলে যাচ্ছে। ৪০ বছর বিজেপি করার এটাই পুরস্কার।'' সূত্রের খবর, শিবপ্রকাশ-সহ অরবিন্দ মেননের মতো কেন্দ্রীয় নেতারা রাহুল সিনহার সঙ্গে কথা বলেছেন। মুকুল রায় প্রকাশ্যে মন্তব্য করেছেন, রাজ্য বিজেপির মুখ রাহুল সিনহা।


রাহুল সিনহাকে সত্যিই কি ছেঁটে ফেলল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব? তা অস্পষ্ট। তবে ১ অক্টোবরের বৈঠকে তাঁর ডাক পাওয়া ও না-পাওয়াই বলে দেবে রাহুল সিনহাকে ঠিক কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে বিজেপি। মোদী-শাহ জমানায় একটা জিনিস স্পষ্ট, নাম নয়, পারফরম্যান্সই শেষ কথা। সামনের দিকে তাকিয়ে দলকে নিয়ে যেতে আগ্রহী শীর্ষ নেতৃত্ব। রাম মাধব, মুরলীধর রাওয়ের মতো নেতারাই বাদ পড়ছেন!


আরও পড়ুন- মেডিক্যালে কোভিড ডাক্তার-নার্সদের আড়াই মাসের খাবারের বিল দেড় কোটি!