বরানগর-ব্যারাকপুর রুটে মেট্রোর কাজ নিয়ে `উদ্বিগ্ন` প্রধানমন্ত্রী মোদী, মুখ্যসচিবকে কড়া চিঠি
চিঠিতে বলা হয়েছে, অবিলম্বে প্রকল্পের কাজ শুরু হোক এমনটা চাইছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।
নিজস্ব প্রতিবেদন : জমি জটে দীর্ঘদিন ধরে আটকে বরানগর-ব্যারাকপুর রুটে মেট্রো প্রকল্পের কাজ। এভাবে দিনের পর দিন ধরে কাজ থমকে থাকায় ক্ষুব্ধ রেলবোর্ড চেয়ারম্যান এবার কড়া চিঠি দিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিবকে। মুখ্যসচিব মলয় কুমার দে-কে লেখা ওই চিঠিতে বরানগর-ব্যারাকপুর রুটে অবিলম্বে মেট্রোর কাজ শুরুর জন্য হস্তক্ষেপ করতে বলা হয়েছে।
চিঠিতে সাফ জানানো হয়েছে, রাজ্যের দাবি মেনে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে বরাবর মেট্রোর লাইন পাতা সম্ভব নয়। বিটি রোড বরাবরই মেট্রোর লাইন পাততে হবে। কারণ রাজ্যের প্রস্তাব মানলে বিপুল লোকসানের মুখে পড়তে হবে মেট্রোকে।
আরও পড়ুন, সোমবার এসএসসি নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত ফলপ্রকাশ
কলকাতা পুরসভা-বনাম রেল বোর্ডের কাজিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে থমকে বরানগর-ব্যারাকপুর মেট্রোর কাজ। রেলবোর্ডের অভিযোগ, মউ সই করেও কথার খেলাপ করছে পুরসভা। ফলে প্রকল্পের জন্য অর্থ বরাদ্দ হলেও কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। পুরসভার অসহযোগিতায় টেন্ডার ডাকাও সম্ভব হচ্ছে না।
পলতা থেকে টালা পর্যন্ত বিটি রোডের তলা দিয়ে মোট ৫টি জলের পাইপ লাইন এসেছে। এই পাইপ লাইন নিয়েই রেলবোর্ডের সঙ্গে পুরসভার বিবাদের সূত্রপাত হয়। পুরসভার তরফে বলা হয়েছিল, ৬৪ ইঞ্চি পাইপ লাইন বসানোর পরেই মেট্রোর কাজ শুরু করা সম্ভব হবে। সেই পাইপ লাইন বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু এখন আবার অন্য দাবি করছে কলকাতা পুরসভা।
আরও পড়ুন, ছুটি চাওয়া নিয়ে তুলকালাম দুই শিক্ষকের, ফাটল নাক-মাথা
পুরসভার বক্তব্য, রেল লাইন পাতার সঙ্গে সঙ্গে স্টেশন তৈরির জন্যেও পিলার বসাতে হবে রেলকে। পিলার বসালে নতুন পাইপ লাইন সহ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে অন্যান্য পাইপও। ফলে পুরসভার আপত্তিতে বন্ধ রয়েছে কাজ।
তবে পুরসভার এই আশঙ্কাকে কোনওভাবেই আমল দিচ্ছে না রেল বোর্ড। চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, অবিলম্বে প্রকল্পের কাজ শুরু হোক এমনটা চাইছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী মোদীও। সূত্রের খবর, রেল বোর্ড চেয়ারম্যানের চিঠির জবাব এখনও দেননি মুখ্যসচিব।