নিজস্ব প্রতিবেদন : ফুলবাগান মেট্রোর উদ্বোধন করলেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল। করোনা আবহে দিল্লি থেকে অনলাইনেই ফুলবাগান মেট্রো স্টেশনের উদ্বোধন করলেন তিনি। দীর্ঘ ২৫ বছর পর কলকাতা শহরে আবার কোনও পাতাল স্টেশনের উদ্বোধন হল। সোমবার থেকে শুরু হবে যাত্রী পরিষেবা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, "আজ কলকাতা মেট্রোর মুকুটে নয়া পালক যুক্ত হল। কলকাতার একপ্রান্তের সঙ্গে আরেক প্রান্ত জুড়বে এই মেট্রো। এই প্রকল্পে অনেক বাধা ছিল, কিন্তু ইঞ্জিনিয়াররা অসীম দক্ষতায় সব বাধা পেরিয়েছেন।" ২০২১-এর ডিসেম্বরের আগেই ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণরূপে সমাপ্ত হয়ে যাবে বলে এদিন আশাপ্রকাশ করেন পীযূষ গয়াল। একইসঙ্গে প্রকল্পে দেরির জন্য কাঠগড়ায় তোলেন রাজ্য সরকারকে। রাজ্য সরকারের উদ্দেশে তোপ দাগেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী। বলেন, "ফুলবাগান মেট্রো প্রকল্প ত্বরান্বিত হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কারণে। কলকাতার মানুষের কথা ভেবেই কাজে গতি সর্বোচ্চ পর্যায়ে বাড়ানো হয়েছে।"


রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের পাশাপাশি দিল্লি থেকে অনলাইনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় (ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর ভারপ্রাপ্ত) ও দেবশ্রী চৌধুরীয়। কিন্তু রাজ্য সরকারের তরফে কেউ-ই উপস্থিত ছিলেন না এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ না জানানোকে কেন্দ্র করে এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ঘিরে ফের বিতর্ক দেখা দিয়েছে। অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পান স্থানীয় বিধায়ক পরেশ পাল ও সাধন পান্ডে। আমন্ত্রণ পেয়েও যাননি সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।


অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন না বলে জানিয়ে দেন বিধায়ক পরেশ পালও। প্রথমে অনলাইনে যোগ দেবেন বললেও পরে তা থেকে বিরত থাকেন সাধন পান্ডেও। মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না জানানোয় এদিন বাবুল সুপ্রিয়কে একহাত নিয়েছেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। চাঁছাছোলা ভাষায় তাঁর কটাক্ষ, "ওরে বাবুল মেট্রো-ই হত না যদি মমতা না থাকত। এতদিনে কিছুই আনতে পারলে না। ছ’বছর হয়ে গেল। রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মেট্রো নিয়ে এসেছে মমতা।"


আরও পড়ুন, 'গেরিলা কায়দায় অভিযান হবে... নবান্ন নড়ে যাবে', চরম হুঁশিয়ারি বিজেপির