বাবুঘাটে গণেশ পুজোর ভাসানে দুর্ঘটনা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন
ওয়েব ডেস্ক: বাবুঘাটে গণেশ পুজোর ভাসানে দুর্ঘটনা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। শহরে ১৮ ফুটের চেয়ে উঁচু মূর্তি গড়ে পুজোর জন্য বিশেষ অনুমতি লাগে। জানবাজারের উমা দাস লেনের উদ্যোক্তাদের কাছে কি আদৌ ছিল সেই অনুমতিপত্র? বিসর্জনেও নির্দিষ্ট অনুমতির প্রয়োজন। পুজো কমিটির কাছে তাও কি ছিল? যদি অনুমতি থাকে তাহলে কেন ছিল না প্রয়োজনীয় বন্দোবস্ত? আর যদি অনুমতি না থাকে তাহলে প্রশাসনের চোখ এড়িয়ে পুজো হল কী করে? ২৫ ফুটের প্রতিমা বিসর্জনের খবর কি ছিল রেলের কাছে? যদি থাকে তবে কেন দুর্গাপুজোর মত খোলা হল না ওভারহেড তার?
আরও পড়ুন চিলড্রেন্স পার্কের জমিতে পুজো করবে কে? তা ঘিরেই ধুন্ধমার শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে
প্রসঙ্গত, রবিবার গভীর রাতে বাবুঘাটে ঘটে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। গণেশ প্রতিমা বিসর্জনের সময়ে বিপত্তি। সার্কুলার রেলের তার ছিঁড়ে বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত তিন। গুরুতর জখম হয়ে sskm, মেডিক্যালে ভর্তি আরও সাত। বাজে কদমতলা ঘাটে বিপদ ডাকল জানবাজারের উমাদাস লেনের সিদ্ধিদাতার বিশাল মূর্তিই। ট্রলিতে চাপিয়ে রেললাইন পার করানোর সময়েই ঘটে দুর্ঘটনা। পঁচিশ ফুটের প্রতিমার হাত লেগে ছিঁড়ে পড়ে ওভারহেড তার। বিদ্যুত সংযোগ হতেই দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে বিশাল মূর্তি। সেই সময়ে মূর্তির পিছনের কাঠামোয় চড়ে আঁকশি দিয়ে তার সরাচ্ছিলেন বাপি মণ্ডল নামে একজন শ্রমিক। জলন্ত মূর্তির ওপর থেকে ছিটকে পড়ে মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনার সময়ে প্রতিমা ঠেলতে হাত লাগিয়েছিলেন আরও অনেকে। বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে ছিটকে পড়েন তারাও। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বছর চল্লিশের বিমল সাহানি এবং উনত্রিশ বছরের তীতেন্দ্র সাহানির। জখমদের তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম, মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। বিসর্জনের সময় উদ্যোক্তাদের অনেকেই নেশাগ্রস্ত ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন পর্ণশ্রীতে বৃদ্ধা খুনে চাঞ্চল্যকর তথ্য