৬৬তম প্রজাতন্ত্র দিবসে এবার ব্রিটিশমুক্ত হচ্ছে রাজভবন!
৬৬তম প্রজাতন্ত্র দিবসে এবার ব্রিটিশমুক্ত হচ্ছে রাজভবন। আগামী ২৬শে জানুয়ারি থেকে রাজভবনের চারটি স্যুটের নাম পরিবর্তন হচ্ছে।ব্রিটিশদের নামের জায়গার দেশি মণীষীদের নামে সাজছে চারটি স্যুট। রাজভবনের চারটি স্যুট। এতদিন এই চারটি স্যুটের নাম ছিল চার ব্রিটিশের নামে। অ্যান্ডারসন স্যুট, ডাফরিন স্যুট, প্রিন্স অফ ওয়েলস স্যুট এবং ওয়েলেসলি স্যুট।
ওয়েব ডেস্ক: ৬৬তম প্রজাতন্ত্র দিবসে এবার ব্রিটিশমুক্ত হচ্ছে রাজভবন। আগামী ২৬শে জানুয়ারি থেকে রাজভবনের চারটি স্যুটের নাম পরিবর্তন হচ্ছে।ব্রিটিশদের নামের জায়গার দেশি মণীষীদের নামে সাজছে চারটি স্যুট। রাজভবনের চারটি স্যুট। এতদিন এই চারটি স্যুটের নাম ছিল চার ব্রিটিশের নামে। অ্যান্ডারসন স্যুট, ডাফরিন স্যুট, প্রিন্স অফ ওয়েলস স্যুট এবং ওয়েলেসলি স্যুট।
ভিভিআইপিরা রাজভবনে এলে তাঁদের থাকার ব্যবস্থা করা হত এইসব স্যুটে। এর মধ্যে প্রিন্স অফ ওয়েলস স্যুটে রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর থাকার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু সম্প্রতি রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠির এক ঘনিষ্ঠের নজরে আসে গোটা বিষয়টি। স্বাধীনতার এত বছর পরেও কেন রাজভবনে ঘরের নামকরণ ব্রিটিশ নেতাদের নামে? বিশেষত যেখানে দেশের প্রধান, বিদেশি অতিথিরা থাকেন? তিনি প্রশ্ন তোলেন এই বিষয়ে। এমনকি চিঠিও পাঠান রাজ্যপালের কাছে। দেশীয় মনীষীদের নামে ঘরের নামকরণের প্রস্তাবও দেন তিনি। সেই প্রস্তাব বিবেচনা করেই রাজ্যপালের সিদ্ধান্ত। আগামী ২৬শে জানুয়ারি থেকে বদলে যাচ্ছে এই চারটি স্যুটের নাম।
অ্যান্ডারসন স্যুটের নাম হচ্ছে বিবেকানন্দ কক্ষ। ডাফরিন স্যুটের নাম হচ্ছে কাঞ্চনজঙ্ঘা কক্ষ। প্রিন্স অফ ওয়েলস স্যুটের নাম হচ্ছে রবীন্দ্রনাথ টেগোর কক্ষ এবং ওয়েলেসলি স্যুটের নাম বদলে হচ্ছে সাগর কক্ষ। দেশের মনীষীদের নামে এইসব কক্ষের নামকরণের ফলে যেমন তাঁদের সম্মান জানানো হবে, তেমনই জাতীয়তাবাদও উজ্জ্বল হবে বলে মনে করছেন অনেকেই। সেক্ষেত্রে ভবিষ্যতে এই সমস্ত স্যুটগুলোর অন্দরসজ্জাতেও যাতে তাদের নামকরণের ছোঁয়া থাকে, তারও বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।