Governor Oath taking Ceremony: `পদমর্যাদার সঙ্গে আপোস করব না`, আসন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ শুভেন্দুর
রোধী দলনেতা বলেন, `শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর। মন্ত্রী, আমলা, সমাজের গণ্যমান্য, ব্যক্তি কিছু বাছাই করা সাংসদ সকলেই অতিথি তালিকায় ছিলেন। ২৯৪ জন বিধায়ককে ডাকলে আমি এ প্রশ্ন করতাম না, কিন্তু দলত্যাগী দুই বিধায়ক কেন আমন্ত্রিত?`
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সাংবিধানিক অনুষ্ঠানেও রাজনীতি করছে তৃণমূল সরকার। মূলত এই অভিযোগ তুলেই রাজ্যপালের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পদত্যাগী দুই বিধায়ক দুই বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী এবং বিশ্বজিৎ দাসের পাশে তাঁর আসন দেওয়ায় ক্ষোভপ্রকাশ করে তিনি গেলেন না অনুষ্ঠানে। ট্যুইট করে এ কথা জানান তিনি। এমনকী রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাছে আলাদা করে দেখা করার সময় চেয়েছেন তিনি। শুভেন্দুর অভিযোগ, 'রাজভবনের গেট থেকে ফিরতে হয়েছে আমাকে ও সুকান্ত মজুমদারকে। অপমান করার জন্যই এমন আসন দিয়েছেন।'
আরও পড়ুন, Calcutta High Court: হাইকোর্টের হস্তক্ষেপের পর সরকারি তালিকায় ফিরল শুভেন্দুর লালবাতি!
রাজ্যপালের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই সাংবাদিক বৈঠক করে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তিনি। এদিন বিরোধী দলনেতা বলেন, 'শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর। মন্ত্রী, আমলা, সমাজের গণ্যমান্য, ব্যক্তি কিছু বাছাই করা সাংসদ সকলেই অতিথি তালিকায় ছিলেন। তালিকা তৈরি করা থেকে আমন্ত্রণ, বসার ব্যবস্থা সবটাই রাজ্য সরকার করে। এখানে আসন বন্টনে কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকে না। কিছুটা প্রটোকলে বাঁধা থাকি সকলে। ২৯৪ জন বিধায়ককে ডাকলে আমি এ প্রশ্ন করতাম না, কিন্তু দলত্যাগী দুই বিধায়ক কেন আমন্ত্রিত? নিকৃষ্ট রাজনীতির সাক্ষী থাকল রাজ্য। ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করা হল।'
প্রথমে তিনি জানিয়েছিলেন যে, শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আসবেন। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল পদে সি ভি আনন্দ বোসের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। কিন্তু এদিন সকালে আচমকাই টুইট করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানান যে, তিনি শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকছেন না। দুই দলত্যাগী বিধায়কের পাশে আসন দেওয়াতেই ক্ষোভ শুভেন্দু অধিকারীর।
তাঁর অভিযোগ, রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে জায়গা দেওয়া হয়েছে তৃণমূল সাংসদদের পিছনে। ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতদের বসার আয়োজন বলে দাবি করে একটি ছবিও টুইট করেন তিনি। এদিন তিনি আরও বলেন, 'আমি আমার পদমর্যাদার সঙ্গে আপোস করব না। অতীতে কেউ কখনই এই চেয়ারের মর্যাদা হ্রাস করেননি। যখন দেখছেন পুলিস দিয়ে আটকাতে পারছেন না তখন প্রতিহিংসার রাজনীতি করছেন। আমার বায়োগ্রাফিতে লেখা থাকবে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হেরে তিনি কম্পার্টমেন্টাল মুখ্যমন্ত্রী।'
আরও পড়ুন, C V Anand Bose: সংঘাতের আবহেই বাংলার নয়া রাজ্যপালের শপথ, নজিরবিহীনভাবে অনুপস্থিত শুভেন্দু